নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ বেআইনী ভাবে অর্থ লেনদেনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আজ ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধীকে নোটিশ পাঠিয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২ রা জুন রাহুল গান্ধীকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবং ৮ ই জুন সনিয়া গান্ধীকে ইডির দপ্তরে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এই নোটিশ প্রসঙ্গে জানান, ‘‘এটি বেআইনী অর্থ লেনদেনের মামলার এক অদ্ভুত নোটিশ যার সাথে কোনো আর্থিক লেনদেন জড়িত নেই। এটি পুরোপুরি প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এর মোকাবিলা করব।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিজেপি জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে মনমোহন সিংহের জমানাতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সেই সময় বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ তুলে বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল তাদের বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল। যার বেশীরভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া। ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা অধিগ্রহণ করে। তারপর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। এতে ৯০ কোটি টাকা দেনার বোঝাও চাপে।
এর কিছু দিন পর কংগ্রেসের তরফ থেকে দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলে কারণ দেখিয়ে ঋণের টাকা মকুব করে দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। কোনো কর দিতে হয় না। কোনো বাণিজ্যক সংস্থাকে ঋণ দেওয়াও তাদের এক্তিয়ারের বাইরে।
এছাড়া সংবাদপত্রটির সম্পত্তি বিক্রি করে কংগ্রেস নেতৃত্ব ঋণের টাকা মেটালেন না কেন সেই প্রশ্ন তুলে আদালতে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব ঘুরপথে আয়কর মুক্ত পুরো টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন।’’