নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ গতকাল সন্ধ্যাবেলা কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ও তুফানগঞ্জ এলাকায় কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোচবিহারের এক নম্বর ব্লকের বেশ কিছু এলাকা বিশেষ করে ঘুঘুমাড়ি, মোয়ামাড়ি এবং বড়ো শোলমারি এলাকায় শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
জানা গিয়েছে যে, ছ’হাজারেরও বেশী ঘর-বাড়ি ভেঙেছে। দু’শো জনেরও বেশী আহত হয়েছেন। ঝড় থামার পর জেলার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পৌঁছেছিলেন। গতকাল রাতেই গুরুতর আহতদের মধ্যে ৪২ জনকে জেলার মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। অন্যান্য আহতদের ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আবার এই ঘূর্ণিঝড়ে মোয়ামাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ছোট আঠারোকোটা এলাকার বাসিন্দা জহাঙ্গীর আলম ও ঘুঘুমারি পালপাড়ার বাসিন্দা দেবদাস পালের মৃত্যু হয়েছে। গাছ পড়ে এক জনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি অন্য জনের ঝড়ে উড়ে আসা টিনে গলা কেটে মৃত্যু হয়েছে। টিনের আঘাতে ধড়-মুণ্ড একেবারে আলাদা হয়ে গিয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন এবং বিডিওর তরফ থেকে উদ্ধারকার্য চালানোর হচ্ছে। ঝড়ে রাস্তায় অনেক গাছ ভেঙে পড়ায় সেগুলি সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশ্রয়হীনাদের নিরাপদ আশ্রয়েরও ব্যবস্থা করে ঘটনাস্থলে সাধ্যমত শুকনো খাবার, জল ও ত্রিপল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এমনকি রন্ধনশালাও খোলা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সরকারের তরফ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বেশী হওয়ায় সব স্বাভাবিক হতে সময় লাগলেও বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।