চুলের অকালপক্কতা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন এই ঘরোয়া টোটকাগুলি

Share

মিনাক্ষী দাসঃ বর্তমানে অনেকেরই অকালে চুল পেকে যায়। যা এক অস্বস্তির কার‍ণ হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণ ৪০ বছর পার হলেই চুল ক্রমশ সাদা হতে থাকে। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের জন্য ২০ বছর থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়।

অনেক সময় অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যাটা জেনেটিক হতে পারে। তবে সঠিক চিকিত্‍সা না করালে, ডায়েট মেনে না চললে ও চুলের যত্ন না নিলে অকালে চুল সাদা হওয়ার সমস্যা তৈরী হয়। কিন্তু এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে একদম প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া কিছু টিপস রয়েছে।


আমলাঃ চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য আমলা হল অন্যতম এক সেরা উপকরণ। ভিটামিন সিতে পরিপূর্ণ আমলা চুল পাকার মত সমস্যা রোধ করতে সক্ষম। চুলের প্রাকৃতিক রং ফিরিয়ে আমলার ভূমিকা অনস্বীকার্য। 
পেঁয়াজঃ চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পেঁয়াজ খুব সাহায্য করে। চুলের বৃদ্ধি ও চুল পড়া আটকাতে পেঁয়াজের রস অত্যন্ত কার্যকরী। সুতরাং চুুুলের গঠন এবং প্রাকৃতিক রং বজায় রাখতেও পেঁয়াজ সহায়তা করে।
শিকাকাইঃ আয়ুর্বেদ উপায়ে যদি চুলের যত্ন নিতে চান তাহলে শিকাকাই ভীষণ কার্যকরী। কারণ চুলের যেকোনো সমস্যার সমাধান হিসেবে অর্থাৎ চুল পড়া, খুশকির সমস্যা, চুল ঘন, ঝকঝকে, মজবুত ও চুুুলের ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ নিরাময় সহ সাদা চুলের সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে সহায়তা করে।
চা ও কফিঃ চা এবং কফির মতো উপাদান প্রাকৃতিকভাবে চুলের রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
কারি পাতাঃ কারি পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য থাকায় মাথার ত্বক ও চুলের মধ্যে আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং বি-ক্যারোটিন উপাদান রয়েছে। যা চুল পড়া, চুল সাদা হওয়া ও চুল পাতলা হয়ে যাওয়া রোধ করতে সহায়তা করে। 


মড়া পাতাঃ চুলের যত্নের জন্য আমড়া পাতা ভেষজ উপায়ে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া প্রাকৃতিক ভাবে চুলের কালো রং ধরে রাখতে হলে এই পাতা দিয়ে তৈরী হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি চুল পড়া, খুশকির সমস্যা এবং মাথার ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ নিরাময় করতে সহায়তা করে।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30