নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ একের পর এক সামাজিক অত্যাচারের ঘটনায় বার বার খবরে শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশ। একসময় লখিমপুর হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে ২০২০ সালে হাথরসে দলিত কিশোরীকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনা সহ উন্নাওয়ে কিশোরী নির্যাতনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যোগী রাজ্য।
উন্নাওয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী নির্যাতিতার মাকে প্রার্থী করেছিলেন। কিন্তু কোনো কার্যকারীতাই সফল হয়নি। বরঞ্চ কংগ্রেসের নাম প্রায় মুছেই গেছে। এতো কিছু ঘটনার পরেও উত্তরপ্রদেশ জুড়ে কোথাও বিজেপির ভোট বাক্সে ভোট কম পড়েনি। আর নড়াতেও পারেনি যোগী আদিত্যনাথের চেয়ার।
জয়ের পর বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই উল্টে স্ত্রীশক্তির জয়গান গেয়ে বলেছেন, ‘‘যেখানে যেখানে মহিলা ভোটাররা বেশী সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন সেখানে বিজেপি বাম্পার ফল করেছে। আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় অনেকেই পরামর্শ দিতেন সাবধানে চলাফেরা করার জন্য। আর আমি বলতাম, আমার কিছু হবে না। স্ত্রীশক্তির কবচ আমায় ঘিরে রেখেছে’’।
কিন্তু এতো ঘটনার পরেও উত্তরপ্রদেশের মহিলারা গেরুয়া শিবিরে ভোট দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে যোগী জমানায় সাধারণ ভাবে রাস্তাঘাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে। এছাড়া করোনা আবহে বাড়ি বসে খাদ্যশস্য পাওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু প্রকল্প রাজ্যের মহিলাদের অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে।
আবার সংখ্যালঘু এলাকার ভোট বিশ্লেষণ করেও দেখা যাচ্ছে, বহু ক্ষেত্রে মুসলমান পুরুষ এসপিকে ভোট দিলেও মুসলমান মহিলাদের একাংশ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় যোজনা ও সুষ্ঠ আইনশৃঙ্খ্লার সাথে সাথে বিজেপি সরকারের তিন তালাক নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপও যোগী সরকারকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।