মিনাক্ষী দাসঃ ধনেপাতা পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুবই কম। অনেকেই রান্নার বিভিন্ন পদে এই ধনেপাতা দিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ ধনেপাতার বড়া ও চাটনীও খেয়ে থাকেন। আর ধনেপাতা রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারী।
১) ধনেপাতায় ভিটামিন সি থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
২) এই ধনেপাতা রক্তে শর্করার পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে। মুখে আলসার নিরাময় করে।
৩) নিয়মিত ধনেপাতা খেলে রক্তের সুগারের মাত্রা কমে ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৪) ধনেপাতায় অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকায় অ্যালার্জি বা এর ক্ষতিকারক প্রভাব রোধ করা যায়।
৫) ধনেপাতা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং চোখে ব্যথার সমস্যা দূর করে।
৬) মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় ধনেপাতা খেলে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়। এতে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা সারাতেও বেশ উপকারী।
৭) ধনেপাতার ফ্যাট স্যলুবল ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ ফুসফুস এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
৮) ধনে পাতা খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া যকৃতকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
৯) ধনেপাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগ্নেশিয়াম ও ভিটামিন এ, সি থাকায় শরীরে পুষ্টি জোগাতে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
১০) ধনেপাতা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। তাই প্রতিদিন ধনেপাতা খেলে গ্যাস, বদহজম সহ কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো বিভিন্নরকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১১) প্রতিদিন ধনেপাতার শরবত খেলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর কিডনির মধ্যে জমে থাকা ক্ষতিকর লবণ ও বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
১২) ধনেপাতায় থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান বাতের ব্যথা সহ হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশম করে। এছাড়া স্মৃতিশক্তি প্রখর ও মস্তিস্কের নার্ভ সচল রাখতে সাহায্য করে।
১৩) ধনেপাতায় লিনোলিক অ্যাসিড এবং সিনিওল এসেনশিয়াল অয়েল থাকে। যার মধ্যে অ্যান্টিরিউম্যাটিক ও অ্যান্টি-আর্থ্রাইটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এরফলে ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে।
১৪) ধনেপাতা মুখের দুর্গন্ধ সহ অরুচি ভাব দূর করে। ধনেপাতা চিবিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের মাড়ি মজবুত হয়। দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। এমনকি মাথাব্যথা হলে ধনেপাতা ও গাছের রস কপালে লাগালে মাথাব্যথা কমে যাবে।
১৫) ধনেপাতায় অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ডিসইনফেকট্যান্ট, ডিটক্সিফাইং অথবা বিষাক্ততা রোধকারী উপাদান থাকার কারণে বিভিন্ন স্কিন ডিজঅর্ডার কিংবা ত্বকের অসুস্থতা সারাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ ত্বক সুস্থ এবং সতেজ রাখতে ধনেপাতার গুনাগুণ প্রচুর।