নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বেঙ্গালুরুঃ এবার সোনা কিংবা টাকা-পয়সা নয়, ট্রাফিক সিগন্যালের ব্যাটারী চুরির মতো অবাক করা ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। আর ওই চুরির ঘটনায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন এস সিকন্দর ও স্ত্রী নাজমা সিকন্দর।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দিনই শহরের কোনো না কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল খারাপ হওয়ার খবর আসছিল। এর তদন্তে নেমে দেখা যায়, সিগন্যালের ব্যাটারী উধাও হয়ে যাচ্ছে। এর পরই বিষয়টিতে নজর রাখতে গিয়ে সমস্ত ট্রাফিক সিগন্যালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন।
চার হাজার স্কুটারের তথ্য পরীক্ষা এছাড়া সাড়ে তিনশো জন স্কুটারের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অবশেষে সিকন্দর এবং নাজমাকে আটক করা হয়। জানা গিয়েছে, সিকন্দর পোশাক বিক্রি করেন। আর নাজমা একটি বেসরকারী সংস্থায় দর্জির কাজ করেন। লকডাউনের আগে চায়ের দোকান থাকলেও লকডাউনের সময় পুলিশ সেটি জোর করে বন্ধ করে দেওয়ায় পুলিশের উপর রাগ শুরু হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারেন যে, এক দিন সিকন্দর ও নাজমা স্কুটারে করে যাচ্ছিলেন। ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার সময় সিগন্যালের ব্যাটারির বাক্স খোলা দেখতেই দ্রুত সেই বাক্স থেকে ব্যাটারি খুলে নিয়ে চম্পট দেন। পর দিন চোরাই বাজারে সেই ব্যাটারি বিক্রি করে ৪ হাজার টাকা পেয়েছিলেন।
এই কাজ মূলত রাতের দিকে করা হত। রাতেরবেলা দু’জনেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন। সিসিটিভি ক্যামেরায় যাতে গাড়ির নম্বরপ্লেট ধরা না পড়ে তাই আগে থেকেই টেলল্যাম্পের তার কেটে রেখেছিলেন। সিগন্যালের খানিক দূর থেকে হেড্লাইটও বন্ধ করে দিয়ে শীঘ্র কাজ সেরে পালিয়ে যেতেন।
২০২১ সালের জুন মাস থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারী মাস অর্থাৎ প্রায় সাত মাসের মধ্যে সিকন্দর এবং নাজমা মোট ২৩০ টি ব্যাটারী চুরি করেছেন। এক একটি ব্যাটারীর ওজন ১৮ কেজি। আর প্রতি কেজি ৭৫ টাকায় বিক্রি করতেন। ঠিক এভাবেই বেঙ্গালুরু শহরের ৬৮ টি ট্রাফিক জংশনের সিগন্যালের ব্যাটারী চুরি করেছেন।