অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আবারও লোভে পড়ে মানুষের সচেতনতার অভাবের পরিচয় পাওয়া গেল। মাত্র চার মিনিটের মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ টাকা খোয়ালেন শ্যামলেন্দু দাস নামে এক জন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
জানা গিয়েছে, শ্যামলেন্দুবাবু করোনার বুস্টার ডোজের জন্য একটা ফোন পেয়েছিলেন। যেখানে বলা হয়েছিল যে, বিনা খরচে বুস্টার ডোজ পাওয়া যাবে। আর এর জন্য ওটিপি শেয়ার করতে হবে। সেইমতো তিনি ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তির কথা অনুযায়ী মোবাইলের এসএমএসে আসা ওটিপি বলে দেন।
এরপর এই ওটিপি শেয়ার করতেই শ্যামলেন্দুবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রায় শূন্য হয়ে যায়। তারপর তড়িঘড়ি শ্যামলেন্দুবাবু পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু পুলিশের বক্তব্য,‘‘শ্যামলেন্দুবাবু একা নন। প্রবীণদের ঠকাতে নতুন এক চক্র কার্যকর হয়ে উঠেছে। যারা এভাবে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই প্রতারণা চক্রকে সহজে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তারা বিভিন্ন রাজ্যের নম্বর ব্যবহার করছেন।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই ধরনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফোন নম্বরে একটি এসএমএস আসছে। সেখানে বিনা খরচে বুস্টার ডোজ পাওয়ার জন্য প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। আর তাতে পা দিলেই প্রতারণা চক্র ব্যাঙ্কের সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।
আবার অনেকক্ষেত্রে ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করতে বলা হচ্ছে। ফলে গ্রাহকরা না বুঝে ওই লিঙ্ক ক্লিক করলে ‘টিম ভিউয়ার’ বা ‘কুইক সাপোর্ট’ ধরনের অ্যাপ খুলছে। সেই অ্যাপ খুলে যাওয়ার পরে অপর প্রান্ত থেকে বলা হচ্ছে, মাত্র দশ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এরপরে সেই রেজিস্ট্রেশন করলেই প্রতারণাচক্র ব্যাঙ্কে অনলাইন লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়ে যাচ্ছে। আর তারপরেই সেই টাকা খোয়া যাচ্ছে। তাই প্রশাসনিক ভাবে বার বার করে ফোন বা এসএমএসে আসা কোনো লিঙ্ক ডাউনলোড অথবা কোনোপ্রকার ওটিপি শেয়ার করতে বারণ করা হচ্ছে। কিন্তু তবুও মানুষ সেই একই ভুল ফাঁদে পা দিচ্ছে।