চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ সাতকালেই প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক কলকাতার একটি নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন। মৃত্যুকালীন সময় বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
দীর্ঘ দিন থেকেই সুগার ও কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। গত প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে নিয়মিত ডায়ালিসিস নিতে হয়েছে। এরপর বুকে সংক্রমণ নিয়ে একবালপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। ২৩ বছর আগে বাইপাস সার্জারিও করা হয়েছিল।
গতকালই রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অসুস্থ সুভাষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এছাড়া তাঁর চিকিৎসা ব্যবস্থার নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী একটি জরুরী সভা ডেকেছিলেন।
যেখানে সুভাষ পুত্র অর্জুন ভৌমিক সহ প্রাক্তন ফুটবলার বিকাশ পাঁজি, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য,ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় এবং আইএফএর সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহনবাগান ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত, মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি কামারউদ্দিন ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে দেবব্রত সরকার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ঠিক হয়েছিল যে, অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমেই কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু আর সেই সময় পাওয়া গেল না। সময়ের আগেই ঝরে গেল প্রাণ।
উল্লেখ্য যে, মাত্র ১৯ বছর বয়সে সুভাষ কলকাতা ময়দানে পা রেখেছিলেন। কিছুদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলেই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগানে যোগ দেন। সেখানে তিন বছর খেলে লাল-হলুদে এরপর ফের তিন বছর পরে ফের সবুজ-মেরুনে ফিরে আসেন। তারপর আবার তিন বছর খেলার পরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ফিরে আসেন।
এক বছর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলে ১৯৭৯ সালে অবসর নেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে মোট পাঁচ বছর (১৯৬৯, ১৯৭৩-৭৫, ১৯৭৯) এবং মোহনবাগান ক্লাবে ছ’ বছর (১৯৭০-৭২, ১৯৭৬-৭৮) খেলেছেন।
এর পাশাপাশি প্রথম ১৯৮৬ সালে জর্জ টেলিগ্রাফের কোচ ছিলেন। তাছাড়া ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০০ সাল, ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল ও ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল অবধি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোচ ছিলেন।
আর ২০১০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মোহনবাগানের কোচ ছিলেন। অন্যদিকে ২০০৬ সালে মহমেডান, ২০০৭ সাল থেকে ২০০৮ সালে সালগাঁওকারে এবং ২০১২ সাল থেকে ২০১৩ সালে চার্চিল ব্রাদার্সে কোচিং করিয়েছিলেন।