নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ আজ পশ্চিম মেদিনীপু্রের গোয়ালতোড় থানার নলবনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ডাঙা গ্রামে এলাকার বাসিন্দারা মাটি খুঁড়তে গিয়ে মাটির নীচ থেকে প্রচুর গুলি সহ বন্দুক পেলেন। যাকে কেন্দ্র করে সমগ্র গ্রাম জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার বাসিন্দারা জমি সমতল করার জন্য মাটি কাটছিলেন। এমন সময় আচমকা একজনের কোদালে মাটির সাথে কিছুর ধাক্কা লাগে। ধাতব শব্দ শুনে আরো কিছুটা খুঁড়তেই মাটির নীচ থেকে প্রচুর কার্তুজ ও ৫০ থেকে ৬০ টি দোনলা বন্দুক বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর পুলিশের কাছে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে অস্ত্রগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, ‘‘নলবনা গ্রামে মাটি খোঁড়ার সময় প্লাস্টিকে জড়ানো অবস্থায় ৪০০ থেকে ৪৫০ টি কার্তুজ এবং ৩৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বহু পুরোনো।
স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌতম কৌড়ির বলেন, ‘‘এক সময় এখানে মাওবাদী ও সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী দুইই সক্রিয় ছিল। এই অস্ত্র কাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এই অস্ত্র দেশবিরোধী কোনো শক্তির কিনা তা জানা নেই। তাই আমরা এনআইএ তদন্ত চাই’’।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘২০১১ সালের আগে এলাকা দখলের জন্য সিপিএমের হার্মাদরা শিবির করে এলাকা সন্ত্রস্ত করে রাখত। এর আগেও জঙ্গলমহল এলাকায় একাধিক জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। ওরা জাদুঘরে চলে গিয়েছে। তাই উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলিও জাদুঘরে পাঠাতে হবে। এক সময় ওরাই লাল টুপি বদলে গেরুয়া টুপি পড়ে নিয়েছে’’।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় এই বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘‘এইসব তৃণমূল আর বিজেপির গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী বলে কিছুই নেই। সেই সময় মাওবাদীদের হাতে অনেক সিপিএম নেতা-কর্মীরা খুন হয়েছেন। তৃণমূল এবং বিজেপি নিজেদের দায় এড়াতেই সিপিএমকে দোষারোপ করছে’’।