নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ গতকাল কোচবিহারের দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের বড় আটিয়াবাড়ি দু’ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাগ্নির মোড় এলাকায় সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সভার মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে খোদ দিনহাটা এক নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জয় বর্মনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মন ও সিতাইয়ের বিধায়কের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব আনাকে ঘিরে বিতর্কের জেরে দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি নুর আলম হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করার কারণে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে।
জগদীশচন্দ্র গিরিন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বলতেই গতকাল দলের জগদীশচন্দ্রের জনসভার জন্য তৈরী মঞ্চে সঞ্জয়ের অনুগামীরা ভাঙচুর করে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেন।
জগদীশচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ দিনহাটা এক নম্বর ব্লক আইএনটিটিইউসি সভাপতি চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস জানান, ‘‘আমাদের ব্লকের শ্রমিক-কর্মীদের নিয়ে একটি কর্মসূচীর প্রস্তুতি চলছিল। সকালবেলা মঞ্চ বাঁধার কাজ দেখতে এসে দেখি আচমকাই বাইকে চড়ে এসে কিছু দুষ্কৃতী ফ্লেক্স এবং দলীয় পতাকা ছিঁড়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙতে থাকে। এমনকি আমাকেও মারধর করেছে’’।
কিন্তু স্নজয় এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ঠিক নয়। শ্রমিক সংগঠনের যে কমিটি আছে সেটা জেলা সভাপতি করে রেখেছেন। কমিটি নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে একটা বিরোধ রয়েছে। ব্লক সভাপতির অনুমতি ছাড়াই একটা মিটিং হচ্ছে। হয়তো তা নিয়েই একটা জনরোষ তৈরী হয়েছিল’’।
দিনহাটা তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উদয়ন এই বিষয়ে বলেছেন, ‘‘যে বা যারা এই কাজ করেছে মোটেও ভালো করেনি। কারা সভা ডেকেছে বা সভায় কে কে থাকবে সেটা নিয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। এমনকি প্রশাসনের অনুমতি হয়েছিল কি না সেটাও জানা নেই। যারা অভিযোগ করছে তারা হয়তো বাড়িয়ে করছে। যারা প্রকৃত তৃণমূল কর্মী তারা এমন কাজ করবে না’’