নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রায় অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের একাংশ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ করার জেরে আটকে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে ছটফটিয়ে মৃত্যু হলো ৭ বছর বয়সী এক শিশুর।
করোনা আবহের কারণে কলকাতা হাই কোর্ট দুর্গাপুজোতেও প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। শীর্ষ আদালতও শোভাযাত্রার অনুমতি দেয়নি। ঠিক তেমনই জগদ্ধাত্রী পুজোর ক্ষেত্রে একই নিয়ম বলবৎ রয়েছে। আর এই কারণেই কৃষ্ণনগরের বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দারা দাবী করেন, আগে যেমন ভাবে জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রতিমা বিসর্জন হতো ওই নিয়মই জারি থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে দেবী প্রতিমাকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে বেয়ারার কাঁধে চড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তা জলঙ্গিতে নিরঞ্জন করা হবে। এই মর্মে পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হলেও দাবীপূরণ হয়নি।
গতকাল সন্ধ্যেবেলা এলাকাবাসীদের একাংশ এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে কৃষ্ণনগর পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখান তারপর পিডব্লুডি মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই ঘটনার ফলসব্রূপ জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
এদিকে ওই যানজটেই মালদা থেকে কলকাতাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকে যায়। অ্যাম্বুলেন্সটি এক অসুস্থ শিশুকে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে আসছিল। শিশুটির পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বারবার অবরোধকারীদের রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলেও অবরোধকারীরা কোনো কথায় কান দেয়নি।
বেশ কিছুক্ষণ অ্যাম্বুল্যান্সে আটকে থাকার পর শিশুটি অচেতন হয়ে গিয়ে শেষমেশ অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায়। এরপরে নদীয়ার কোতোয়ালি থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে বলপূর্বক অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। পুলিশী তৎপরতায় আপাতত যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।