অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ দেশ সহ রাজ্য জুড়ে জবালানীর দাম আকাশছোঁয়া। তাই জবালানীর আগুন ছোঁয়া দামে সকলেই জেরবার। আর থেকে বাদ পড়েনি পুলিশ প্রশাসনও। তাই জ্বালানীর খরচ বাঁচাতে লালবাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতিমধ্যেই নবান্নের পক্ষ থেকে এই ধরনের গাড়ি লিজ়ে নেওয়ার বিষয়ে ছাড়পত্র মিলেছে। দ্রুত ২২৬ টি বৈদ্যুতিক গাড়ি লালবাজারের হাতে আসবে। আর পরিবেশবান্ধব গাড়ি ব্যবহার করা হলে বায়ু দূষ্ণ ও শব্দ দূষণ কমার পাশাপাশি বছরে কয়েক কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় মাসখানেক আগেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে পেট্রোল-ডিজ়েলের ব্যবহার কমাতে বৈদ্যুতিক গাড়ি লিজ় নেওয়ার জন্য নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পুজোর আগে ছাড়পত্র এসে পৌঁছয়। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিবালয়ের চিঠিতে জানানো হয়েছে যে এর জন্য প্রায় আট কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ডিজ়েল কিনতে যেখানে ১০০ টাকার বেশী খরচ হচ্ছে সেখানে বৈদ্যুতিক গাড়িগুলির ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ৮ টাকা খরচ পড়ার কথা। এদিকে বৈদ্যুতিক গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অনেক কম। তাই বর্তমানে জ্বালা্রনী দাম অনুযায়ী হিসাব করলে ২২৬ টি পরিবেশবান্ধব গাড়ি কেনার পরে আট বছরে প্রায় ৪০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
এরপর লালবাজার সরকারী সংস্থা ইসিএলের সাথে ২২৬ টি বৈদ্যুতিক গাড়ি আট বছরের লিজ়ে নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করে। মূলত টাটার তরফে ওই গাড়ি সরবরাহ করার কথা। আপাতত প্রক্রিয়াগত যাবতীয় কাজ শেষ। আর গাড়িগুলি লালবাজারের হাতে এসে পৌঁছাবে কবে সে বিষয়ে খোঁজ রাখার জন্য অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের হাতে প্রায় চার হাজার গাড়ি রয়েছে। সেগুলির মধ্যে বেশ কিছু গাড়ি ১৫ বছরের বেশী পুরনো। ফলে আদালতের নির্দেশ মতো তা বাতিলের মুখে। মূলত সেই কারণেই যত শীঘ্র সম্ভব পরিবেশবান্ধব গাড়ি আনার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া এই গাড়িগুলির জন্য ছ’টি জায়গায় ‘হাই স্পিড চার্জিং পয়েন্ট’ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া খুব তাড়াতাড়ি যে কোনো জায়গা থেকেও গাড়িতে চার্জ দেওয়া যাবে।