পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ এবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি এলাকায় সত্ বাবার লালসার শিকার হতে হলো দশ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত তালদি এলাকার বাসিন্দা রাজু সর্দার পেশায় একজন গাড়ি চালক। বিবাহিতও ছিল। কিন্তু বিগত প্রায় ৬ বছর আগে বারুইপুর থানার রামধারী এলাকার এক গৃহবধুর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠায় ওই গৃহবধুকে তার স্বামীর কাছ থেকে ছাড়িয়ে এনে বিয়ে করে। ওই গৃহবধুর দুই নাবালিকা কন্যা ছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রথম স্বামী বড়ো মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেওয়ায় ছোটো মেয়েকে নিয়ে রাজুর কাছে চলে আসে। বর্তমানে ওই মহিলার দুটি শিশু সন্তানও হয়। তবে আচমকা গত কয়েক দিন আগে ছোটো মেয়ে বাড়িতে ঢুকতে ভয় পাওয়ায় জিজ্ঞাসা করতেই সে জানায়, “সত্ বাবা বাড়িতে একবার ও বাড়ির বাইরে দু’বার তার সাথে জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এমনকি কাউকে বললে হত্যা করারও হুমকি দিয়েছিল”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
গতকাল ভোর প্রায় ৪ টের সময় ওই নাবালিকা তালদি ষ্টেশন এলাকায় ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসে স্থানীয় তপশীলি জাতি-উপজাতি সংখ্যালঘু উন্নয়ণ মহিলা সমিতির দ্বারস্থ হয়ে বাঁচানোর আর্জি জানায়। এরপর ওই নাবালিকাকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে সেখান থেকে রাজুকে ধরে নিয়ে আসেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তারপরে মহিলা সমিতির সদস্যারা রাজুর কঠোর শাস্তির আবেদন জানিয়ে ক্যানিং থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এর পাশাপাশি রাজুর অপকর্মের জন্য শাস্তির দাবী জানিয়ে ওই নাবালিকার মা ক্যানিং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে রাজু সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী জানিয়ে বলেন, “আমি প্রথম স্ত্রীর কাছে মাঝে মধ্যে যাওয়া আসা করি। সেটা দ্বিতীয় স্ত্রী’র মেনে নিতে আপত্তি থাকায় আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ রাজুকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করার সাথে সাথে ওই নাবালিকার দেহ শারীরিক পরীক্ষার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।