করোনার থাবায় এবার সাহিত্য জগতে ঘটলো ইন্দ্রপতন

Share

চয়ন রায় কলকাতাঃ ৮৫ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান বিশিষ্ট সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। গতকাল রাত ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। বুদ্ধদেববাবুর প্রয়াণে সাহিত্যজগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

গত এপ্রিল মাসে বুদ্ধদেববাবু করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িও ফিরেছিলেন। কিন্তু করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় ফের কাবু হলে আগস্ট মাসের শুরুতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার পাশাপাশি মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এমনকি লিভার ও কিডনিতেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। দৃষ্টিশক্তিও ক্রমশ ক্ষীণতর হচ্ছিল। গতকাল রাতে হাসপাতালে থাকাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


প্রসঙ্গত ১৯৩৬ সালের ২৯ শে জুন বুদ্ধদেববাবুর কলকাতায় জন্ম হয়। ছোটো থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। পরে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। ততদিনে বাঙালী পাঠক সাহিত্যজগতে তাঁর সাহিত্যের প্রভাব দেখতে শুরু করেছেন।


১৯৭৬ সালে ‘হলুদ বসন্ত’ উপন্যাসের জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছিলেন। বুদ্ধদেববাবুর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘জঙ্গলমহল’। বুদ্ধদেববাবুর জনপ্রিয় উপন্যাসগুলির মধ্যে ‘মাধুকরী’ এবং ‘চানঘরে গান’ অন্যতম। তাছাড়াও ‘বাবলি’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’ এর মতো বহু উপন্যাস আছে। তাঁর সাহিত্যের পাশাপাশি গান লেখা, ছড়া লেখা ও ছবি আঁকাতেও যথেষ্ট কৌতূহলী ছিলেন।


বুদ্ধদেববাবু  ৯৯ টি উপন্যাস, ২৯টি ঋজুদার অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী সহ ৯ টি রিভু কাহিনীর সাথে বাঙালীর হৃদয়কে জয় করেয়েছিলেন। বুদ্ধদেববাবু বাংলার সেই সাহিত্যিক ছিলেন যিনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরবর্তী কালে বাঙালীকে জঙ্গল আর আদিবাসীদের জনজীবন সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কীর্তিমান লেখক বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণে বাংলার সাহিত্যজগতে বিরাট এক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। যা অপূরণীয়।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930