নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ অবৈধভাবে রাস্তার দু’পাশের গাছ কেটে পাচার করার অভিযোগে দুই তৃণমূল নেতা সহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। ধৃতেরা হলেন গলসির পাত্রহাটি গ্রামের শেখ আব্বাসউদ্দিন ওরফে সাগর, মসজিদপুর গ্রামের শেখ সফিক ওরফে শম্ভু, তেঁতুলমুড়ি গ্রামের নূর মহম্মদ শাহ ওরফে টগর, ভাতারের রামচন্দ্রপুর গ্রামের সুকুমার বিশ্বাস ও ওই থানারই সুভাষপল্লীর মিলন বিশ্বাস।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গলসি থেকে শিকারপুর যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে কয়েক হাজার গাছ ছিল। প্রায় ছ’মাস আগে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এর কিছুদিন পর থেকে মসজিদপুর পঞ্চায়েত অফিসের আশপাশে প্রায় দু’হাজার গাছ কে বা কারা কেটে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দারা গলসি ২ এর বিডিওর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনীর ব্লক সভাপতি গুল মহম্মদ মোল্লা সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা এবং কাঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে জানানো হয় যে সরকারী কোনো অনুমোদন ছাড়াই গাছগুলি কেটে পাচার করা হয়েছে। কিন্তু জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি সেই অভিযোগ উড়িয়ে প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার তদন্তের দাবী জানান।
মঙ্গলবার রাতে প্রথমে সুকুমার ও মিলনকে গ্রেপ্তার করে ১০০ টি গাছের গুঁড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর ধৃতদের নিয়ে সাগরের গোলাতে হানা দেওয়া হলে সাগরকে গ্রেপ্তার করে ২১০ টি গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করা হয়। তারপর অভিযুক্তদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে তিন দিন পুলিশী হেফাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া বিচারক মিলনকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে শনিবার আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্ভু ও টগর স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজন মণ্ডল বলঞ্নছে, ”দল অপরাধীদের পক্ষে নয়। তাই বেআইনীভাবে গাছ কাটার ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত তারা কেউ ছাড় পাবে না। আমরা চাই, অপরাধীদের শাস্তি হোক”।