তীব্র জলকষ্টের ভোগান্তিতে জেরবার এলাকাবাসী

Share

মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেলো ঘূর্ণিঝড় যশ চলে গেছে কিন্তু এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এখনো উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের কষ্ট থেকেই গেছে।

বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চারিদিকে শুধু জল আর জল। তবে যশ এর পরবর্তী সময়ের থেকে জল কিছুটা নামলেও এখন অবধি বেশীরভাগ গ্রামগুলি বসবাসের যোগ্য হয়ে ওঠেনি। গ্রামের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনা সব কিছুই জলের তলায় ভাসছে। চারদিকে জল থৈ থৈ করলেও সেই নোনা জল পান করার উপযুক্ত নয়।


ফলে খুলনা, মণীপুর, বউনিয়া, কালীনগর, হাসনাবাদ, বসিরহাটের মিনাখার উচিলদহ, সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের আতাপুর, হিঙ্গলগঞ্জের বাঁশতলী, দুলদুলি, নেবুখালি, রুপমারি ও সামশেরনগর জুড়ে পানীয় জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে। এখন এইসব এলাকার বাসিন্দাদের রাজ্য জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দপ্তরের পাঠানো পানীয় জল এছাড়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া জলের পাউচ আর জলের বোতলই একমাত্র ভরসা।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তরের পানীয় জলের ট্যাঙ্ক রোজ নদীর ধারে আসে। আর সেই জল নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন দিতে হয়। হাঁড়ি, কলসি এবং বালতি পেতে লাইন দেওয়া হয়। প্রতিদিন ভোর থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিয়েও শেষে কারোর ভাগ্যে জোটে এক বালতি তো আবার কারোর ভাগ্যে আধ বালতি জল জোটে। অনেককেই আবার জল না নিয়েই ফিরে আসতে হয়।


বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ স্থানীয় ইছামতী, কলাগাছি, গৌড়েশ্বর, বিদ্যাধরী ও রায়মঙ্গল নদীর জলে ডুবে রয়েছে। এরফলে গ্রামের মধ্যে যে সমস্ত পানীয় জলের টিউবওয়েল রয়েছে সেই সমস্ত টিউবওয়েল থেকে নোনা জল উঠছে। যা পান করার উপযুক্ত নয়।

স্থানীয়দের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, যশ পরবর্তী সময়ে সরকারী-বেসরকারীভাবে ত্রাণ মিললেও পর্যাপ্ত পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে এলাকায় তীব্র জলের কষ্ট দেখা দিয়েছে।

তাছাড়া এলাকায় পানীয় জলের কষ্টের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মন্ডল জানিয়েছেন যে, “কিছু এলাকায় পানীয় জলের কষ্ট রয়েছে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি যাতে খুব শীঘ্রই এই পানীয় জলের সমস্যা মেটানো যায়”।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031