পিঙ্কি পালঃ কলকাতাঃ করোনার জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রচণ্ড আর্থিক অনটনের কারণে কলকাতার বেহালার সরশুনায় এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃতার নাম কৃষ্ণা সেন। স্বামী ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সংসার ছিল। স্বামী নরেন সেন কলকাতা পুরসভায় অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর ছেলে ইশান সেন আলিপুর বডিগার্ড লাইনের সিভিক ভলান্টিয়ার। ৬ বছর থেকে সরশুনার একটি আবাসনে ভাড়া থাকতেন। সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও স্বামী এবং ছেলের উপার্জনে কোনোক্রমে সংসার চলে যেত।
কিন্তু লকডাউনের জন্য ইশান ঠিকমতো বেতন পাচ্ছে না। তাই পরিবারে অশান্তিও চলছিল। স্বামীর চিকিত্সার জন্য প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ধার হয়ে গিয়েছিল। আর্থিক সংকটের কারণে সেই টাকাও পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তবে গতকাল অফিসে যাওয়ার জন্য ছেলে মায়ের কাছে টাকা চাইলে দিতে না পারায় মা-ছেলের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর নরেনবাবুও মমিনপুরে কাজে চলে যাওয়ায় কৃষ্ণা দেবী বাড়িতে একাই ছিলেন।
রাতের বেলা নরেনবাবু বাড়ি ফিরে দেখেন ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় অবশেষে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন স্ত্রী কৃষ্ণা দেবী সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন।
তারপর সরশুনা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, “কৃষ্ণা দেবী খুব শক্ত মনের মানুষ ছিলেন। তবে কিভাবে যে আত্মহত্যা করলেন বুঝতে পারছি না”। এই ঘটনায় গোটা পরিবারই শোকস্তব্ধ। যদিও পুলিশ গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।