বার খোলা থাকলে তৃণমূলের নেতারা মস্তি করতে পারবে, মন্তব্য দিলীপের

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ পুনরায় করোনা আবহের জন্য রাজ্যে আগামী ৩০ শে জুন অবধি লকডাউন জারি করা হয়েছে। আর এই নতুন বিধিনিষেধ নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করতে পিছপা হলেন না।

প্রসঙ্গত গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, বেলা ১২ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত করোনা বিধি মেনেই ৫০% লোকের উপস্থিতিতে বার খোলা যাবে। আর দিলীপ ঘোষ সেই বিধিনিষেধকে তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানান।


আজ এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে কড়া ভাষায় জানালেন, “বিদ্যালয় চালু থাকলে সরকারের খরচ হয়। আর বার খোলা থাকলে সরকারের লাভ হয়। বার খোলা থাকলে পার্টির নেতারা মজা-মস্তি করবে। তাই বিদ্যালয় বন্ধ করে নির্দিষ্ট সময়ে বার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে”।


পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের মা প্রয়াত হওয়ায় গতকাল রাতে পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শোভন চট্টোপাধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আবার এই প্রসঙ্গে এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, “ঢেউতে অনেকেই নিজের মতো করে এসেছিলেন। আবার তারা নিজের মতো করেই চলে যাচ্ছেন। এতে পার্টির কোনো ক্ষতি হবে না। পার্টির পুরোনো নেতারা একই ভাবে দলের সঙ্গে আছেন”।


দিলীপ বাবু এও জানিয়েছেন, “রাজ্যপাল শুরু থেকেই বুক চিতিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। সেই কারণে রাজ্যপালকে অপমানের অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে চিন্তিত আর তাঁর কাজও প্রশংসনীয়”।

গতকালই বেনজির ভাবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সাথে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দলের প্রায় সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে আলোচনায় বসেছিলেন। আলোচনার মূল বিষয় বস্তু ছিল রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসা ও বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচারের জন্য রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
August 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031