নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ সমগ্র দেশময় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ংকর প্রভাব ফেলেছে। যেমন একদিকে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তেমনই পাল্লা দিয়ে মৃত্যু মিছিল বেড়ে চলেছে। অপরদিকে টীকা, ওষুধ ও অক্সিজেনের আকাল নিয়ে চারিদিকে হাহাকার দেখা দিচ্ছে। ফলে আগত করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে আজ থেকেই সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে করোনার প্রস্তুতিকরণের নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের টীকাকরণ শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কারণ বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে, “ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ সামনেই আসছে। যা শিশুদের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। যখন একটি শিশু হাসপাতালে যাবে তখন তার মা ও বাবাকেও যেতে হবে। তাই এই শ্রেণিরও টীকাকরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বৈজ্ঞানিক উপায়ে আমাদের টীকাকরণের জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে তাই শীঘ্রই প্রস্তুতি সারতে হবে”।
এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে করোনা চিকিত্সার ক্ষেত্রে দেশে দ্রুত টীকাকরণ প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি এবং রেমডিসিভির মতো ওষুধের জন্য আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার সদস্য, রাজ্য প্রতিনিধি ও জেলা স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে টীকার উত্পাদন বৃদ্ধি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করলেন। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জারি করা বিবৃতি থেকে জানা গেছে, নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন যে “লকডাউন সত্ত্বেও নাগরিকদের টীকাকরণ প্রক্রিয়া চালু থাকা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনোভাবেই অন্য কাজে দেওয়া যাবে না। আর করোনা সংক্রমণ আটকাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়”। এছাড়া করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য রাজ্যগুলিতে সাহায্য করার আশ্বাস দেন।
এ্রর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে আধিকারিকরা জানান, “রাজ্যগুলিতে মোট ১৭.৭ কোটি করোনা টীকা পাঠানো হয়েছে। ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রায় ৩১% মানুষকে টীকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন রাজ্যে নষ্ট হওয়া টীকার ডোজের পরিমাণও জানানো হয়”।