কাঁটাতারের বেড়া পার করে গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ মহিলাদের

Share

অমিত মহন্তঃ দক্ষিণ দিনাজপুরঃ একেই নিজভূমে পরবাসী অবস্থা গ্রামবাসীদের। তার উপরে এবারে বিএসএফের বিরুদ্ধে অলিখিত ফতোয়া জারির অভিযোগ। আর বিএসএফের এমন অলিখিত ফতোয়ার জেরেই গোটা একটি গ্রাম সমস্যার মধ্যে পড়েছে।

দক্ষিণ দিনাজপুরর বালুরঘাট ব্লকের অমৃত খন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্ত গ্রাম ভুলকিপুরের একটা অংশ কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে রয়েছে। ওই গ্রামে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০ জন বাসিন্দা রয়েছেন। সীমান্ত গ্রামগুলির নিয়ম মেনেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কাঁটাতারের বেড়া পার করে বাসিন্দারা যাতায়াত করতে পারে।

https://www.youtube.com/watch?v=6Sxw0I2JSNU


কিন্তু এদিন ওই এলাকায় উলটপুরান ছিল। পুরুষদের ক্ষেত্রে বাধা না থাকলেও মহিলাদের একেবারেই গ্রাম বন্দী করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিন কোনো মহিলাকেই ওই সীমান্তের কাঁটাতারের গেট পার হয়ে আসতে দেওয়া হয়নি। ওই গ্রামে কোনো দোকান না থাকায় গ্রামবাসীরা এপারেই তাদের সামগ্রী কিনতে আসে। এছাড়াও গ্রামবাসীদের কাজ কর্মের জন্য এপারেই আসতে হয়। কিন্তু এদিন সকাল থেকেই মহিলাদের আটকে দেওয়ায় ব্যাপক হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়।


শুধু তাই নয় এদিন শেষ দিনের নির্বাচনী প্রচারেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমস্যার মধ্যে পড়ে। বিএসএফের স্থানীয় বিওপি থেকে ক্যাম্প পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার ছোটাছুটি করেও ওই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপরের ভুলকিপুর গ্রামে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি।

বিএসএফ এর এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধিকারিক বলেন, “সম্প্রতি ওই গ্রামের কিছু মহিলার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচার এর অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে মহিলা বিএসএফ কর্মীর অভাব। ফলে তল্লাশি ছাড়া কাউকে যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না। তাই কাউকেই এপারে আসতে দেওয়া হচ্ছে না”।


https://www.youtube.com/watch?v=9VAIG3SXRPU

ভুলকি পুর এলাকার বাসিন্দা অমল বর্মন বলেছেন, “আচমকা এদিন সকাল থেকে বিএসএফ মহিলাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাধা দিয়েছে। তাদেরকে গ্রাম বন্দী করে রেখেছে। এর কারণ জানতে চাইলেও বিএসএফ কোনো কিছু জানাচ্ছে না”।

স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সুকান্ত হাসদা জানিয়েছেন, “এদিন আমরা শেষদিনের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছি। তবে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়ার ওপরের ভুলকিপুরের মহিলাদের কোনো কাজেই এপারে আসতে দিচ্ছে না। এর জন্যে তাদের প্রবল হয়রানি হতে হচ্ছে। মূলত বিএসএফের লেডি কনস্টেবল না থাকার কারণেই নাকি এমন সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু তার জন্য গ্রামবাসীদের এত হয়রানি হতে হবে কেন? তার জবাব কে দেবে? আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি”।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031