বাকি ৪ দফা নির্বাচনে তৃণমূল পুরো সাফ হয়ে যাবে, জানালেন মোদি
রাজ খানঃ বর্ধমানঃ চার দফা নির্বাচনেই বিজেপি তৃণমূলকে চার–ছক্কা মেরে মাঠের বাইরে বার করে দিয়েছে। হয়ে যাওয়া চার দফা নির্বাচনে বিজেপি সেঞ্চুরি করে নিয়েছে। বর্ধমানের তালিতের কাছে সাই কমপ্লেক্সে পূর্ব বর্ধমান জেলার পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে এসে এভাবেই রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধোনা করে গেলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার ষোলোটি আসনের সমস্ত বিজেপি প্রার্থী সহ বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুরেন্দ্রজিত সিংহ অহলুবালিয়া, জেলার দুই সভাপতি অভিজিত তা, কৃষ্ণ ঘোষ প্রমুখরাও মঞ্চে হাজির ছিলেন। এছাড়া হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির কয়েকজন কর্মকর্তাও।
তীব্র কাঠফাটা রোদে আগত মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য সাই কমপ্লেক্সের মাঠে তিনটি বিশালাকার ছাউনি তৈরী করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনতে এই তিনটি ছাউনি উপচে কেবলই লোকের মাথা দেখা যাচ্ছিল। বর্ধমান সিউডি এনএইচ ২বি রোডে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় নজর কাড়ার মতো ছিল। যা দেখে বিজেপির কর্মকর্তারা রীতিমত উজ্জীবিত হয়ে উঠলেন।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবার তিনি বলেন, “দিদি কেন দলিতদের অসম্মান, অপমান করছেন। তিনি এতবড়ো মহাপাপ করছেন কেন? তাঁকে বাংলার মানুষ ক্ষমা করবেন না। দিদি তপশিলী, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে অপমান করে সবথেকে বড়ো ভুল করেছেন”।
মোদি অভিযোগ তুলেছেন, “দিদি আম্বেদকরের জন্মদিনে আম্বেদকরকে অপমান করেছেন। তাঁকে বাংলার মানুষ ক্ষমা করবেন না। আগামী বাকি চার দফা নির্বাচনে বাংলা থেকে দিদিকে হঠিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে”।
এদিন মঞ্চে এসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “বর্ধমানের সবথেকে বিখ্যাত চাল আর মিহিদানা। গোটা বর্ধমানের সমস্ত ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে রয়েছে মিষ্টি সুবাস। এই মাটি শিবের মাটি। দিদিকে বাংলার মানুষ নন্দীগ্রামে ক্লিন বোল্ড করে দিয়েছে। দিদির বাংলায় আয়ু শেষ হতে চলেছে। দিদির স্বপ্ন ছিল ভাইপোকে ক্ষমতায় বসাবেন। কিন্তু দিদির সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। বাংলার মানুষ তোলাবাজ, সিণ্ডিকেট রাজকে খতম করবে এই একুশের ভোটেই”।
“দিদির এতো রাগ কেন? কেন এতো ক্রোধ ক্রমশ বেড়েই চলেছে?। দিদি গাল দিতে চাইলে আমাকে যত খুশি দিন। তবে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। দিদি বাংলায় কেবল মোদি মোদি শুনে রেগে যাচ্ছেন। দিদি বাংলায় পুলিশকে তৃণমূলের পার্টির কাজে লাগিয়েছেন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে পুলিশ আর প্রশাসন নিজের নিজের কাজ করবে। সরকারের সুফল সরাসরি উপভোক্তার কাছেই পৌঁছাবে। কোনো দাদা দিদির হাত দিয়ে পৌঁছাবে না”।
“যেদিন বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় বসবে এরপরই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি বাংলায় চালু হয়ে যাবে। কৃষকরা এককালীন ১৮ হাজার টাকা করে পেয়ে যাবেন”। কোচবিহারের শীতলকুচির প্রসঙ্গ তুলে মোদি জানিয়েছেন, “মায়ের কোল থেকে ছেলে ছিনিয়ে নিয়েছেন, বয়স্কা মহিলা শুভা মজুমদার থেকে বাংলায় কাজ করতে আসা পুলিশ অফিসারকেও পিটিয়ে মারা হচ্ছে। কি চলছে বাংলায়!। দিদি বাংলার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই আগামী ২ ra মে দিদি যাচ্ছেনই। বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সোনার বাংলা”।