এক বৃদ্ধার ব্যাগ নিয়ে পলাতক রিক্সাওয়ালা
দীপঙ্কর গোস্বামীঃ মালদাঃ বাজার করে বাড়ি যাওয়ার পথে এক বৃদ্ধার হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে এক রিক্সাওয়ালা চম্পট দিল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে মালদার ইংরেজবাজার শহরের সিংঙ্গা তলা এলাকায়। এই বিষয়ে ওই বৃদ্ধা ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, “বৃদ্ধা প্রতিমা দে ইংরেজবাজার শহরের সিঙ্গাতলা এলাকার বাসিন্দা। আজ সকালে তার দিদির পেনশন চালু করার বিষয় নিয়ে এলাকার কাউন্সিলর অশোক দাসের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তার দিদির জন্য রেসিডেন্সি সার্টিফিকেট নেওয়ার পর মকদমপুর বাজারে বাজার করতে আসে। এরপর বাজার করে বাড়ি যাওয়ার সময় একটি রিক্সাতে ওঠে। বাড়ির কাছে রিক্সা থেকে নেমে টাকার ব্যাগটি রিক্সাওয়ালাকে ধরতে বলে। তারপর ভুলবশত বাড়িতে ঢুকে গিয়ে হঠাৎ ব্যাগের কথাটি মনে পড়লে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে রিক্সাওয়ালা ব্যাগটি নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এদিকে বুধবার দুপুরে এই ঘটনায় ওই বৃদ্ধা এবং তার দিদি ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
থানায় এসে বৃদ্ধা প্রতিমা দে জানান, “তার দিদি মায়া দাস। বয়স ৭৪ বছর। বর্তমানে তার দিদি রায়গঞ্জের দেবীনগর থাকত। এই বছরের জানুয়ারী মাসে শারীরিক অসুস্থতার জন্য তার জামাইবাবু কালী কুমার দাস প্রয়াত হন। জীবিত থাকাকালীন চাকরী সূত্রে তিনি মালদার জলসম্পদ দপ্তরে চাকরী করতেন। সে ক্ষেত্রে তার মৃত্যুর পর তার পেনশন কয়েক মাস ধরে তার স্ত্রী মায়া দাস পাচ্ছিল না। তাই পেনশনের কাগজপত্র ঠিক করার বিষয় নিয়ে দুদিন আগে তার বাড়িতে আসেন। এদিকে আজ সকালে দিদির সমস্ত পরিচয় পত্র ও ট্রেজারির কাগজপত্র নিয়ে মকদমপুর বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে রিক্সাওয়ালা হাতে থাকা সেই ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই ব্যাগের মধ্যে তার দিদির আধার কার্ড, পেনশনের কাগজপত্র সহ নগদ ৭০০ টাকা ছিল”।
মায়া দাস কাগজপত্র না পাওয়ায় থানার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর কাগজপত্র পাওয়া না গেলে পেনশন চালু হবে না। ইতিমধ্যেই ইংরেজবাজার থানার পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু প্রকাশ্য দিবালোকে এরকমভাবে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরবাসীর মনে।