নিজস্ব সংবাদদাতাঃ খড়গপুরঃ যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে রেল লাইন মেরামতের কাজ করতে গিয়েই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহত হন ৩ জন রেলকর্মী। আর গুরুতর আহত হন ১ জন। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে খড়গপুর ডিআরএমের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল যান।
নিহতরা হলেন বাপি নায়েক, নৃপেন পাল ও মানিক মণ্ডল। বাপি খড়গপুরের বুলবুলচটি এলাকার বাসিন্দা। নৃপেন কৌশল্যার বাসিন্দা। এবং মানিক কোলাঘাটের বাসিন্দা। আহত কিষণ দেশড়া ডেবরার রাধামোহনপুরের বাসিন্দা। আহত ওই ব্যক্তিকে খড়গপুর রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রেল সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, আজ গ্যাংম্যানরা পশ্চিম মেদিনীপুরের দক্ষিন-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনে বালিচক স্টেশনের কাছে দুঁয়া ও বালিচকের মাঝে রেললাইনে কিছু সমস্যা থাকায় তা মেরামত করছিল। এর মধ্যেই সেই লাইন দিয়েই ফলকনামা এক্সপ্রেস দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছিল। যার জেরে ফলকনামা এক্সপ্রেসের চাকায় কার্যত ছিন্নভিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৩ জন গ্যাংম্যান।
প্রাক্তন রেল আধিকারিকদের মতে, “এখনকার রেলের ইঞ্জিনগুলিতে কোনোরূপ শব্দ না হওয়াতেই বেশীরভাগ সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া গ্যাংম্যানদের কাছে ট্রেন কোন লাইন দিয়ে আসে সেই বিষয় কোনো তথ্য থাকে না। আর সেই সময় রেল লাইনে কর্মরত গ্যাংম্যানরা কাজ করার সময় আগত খড়গপুরমুখী ফলকনামা এক্সপ্রেস খেয়াল না করায় ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়”।
কিন্তু ট্রেনের চালক রেল লাইনে কর্মরত গ্যাংম্যানদের কেন লক্ষ্য করেননি? আর রেল লাইনে কাজ চলাকালীন সেই লাইনে এক্সপ্রেস ট্রেন কীভাবে ছুটে এল? সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি রেলের আইন অনুযায়ী সকল প্রকার সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেছেন, “তিন জন গ্যাংম্যানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যা খুব দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনার তদন্ত করা হবে। এমনকি এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে”।