নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসানসোলঃ দুষ্কৃতীদের নৃশংসমূলক দুষ্কর্মের ফলে প্রাণ হারালো বেশ কিছু বন্য প্রাণী সহ কয়েক হাজার গাছ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে এলাকাবাসীরা বর্ধমানের আসানসোল টি রেঞ্জের অন্তর্গত গৌরান্ডি বিটের মেঝানডি জঙ্গলে বারাবনি ব্লকের পানুডিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আলিগঞ্জ মৌজা এলাকায় আগুন জ্বলতে দেখতে পান। জোর হাওয়ায় শীঘ্রই আগুন জঙ্গলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছড়িয়ে পড়ে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereতারা বনদপ্তরের বিট অফিসে খবর দেওয়ার পরই বন আধিকারিকরা স্থানীয় মানুষজনকে সাথে নিয়ে পানুডিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগীতায় জলের ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে প্রায় চার ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় ৪ হেক্টর এলাকায় আনুমানিক চার হাজার আকাশমণি গাছ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এবং কিছু সংখ্যক বন্যপ্রাণী পুড়ে মারাও যায়।
এই প্রসঙ্গে গৌরান্ডি বিট আধিকারিক সুমন্ত দাস বলেছেন, “বিগত তিন মাস থেকে কিছু দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন এলাকার জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে”।
দুর্গাপুর বনবিভাগের অফিসের নির্দেশে বারবার গ্রাম্য অঞ্চলের সতর্কতামূলক প্রচার চালানোর পরেও বনদপ্তরের পাহারা থাকা সত্বেও আচমকাই তারা জঙ্গলে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দিয়ে অসংখ্য গাছ পুড়িয়ে দিচ্ছে। তবে দুষ্কতীদের খোঁজ করে আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereবন দপ্তরের একাধিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “জঙ্গলের শুকনো পাতায় আগুন ধরালে গাছগুলি পুরোপুরি না পুড়ে ঝলসে যায়। আর কিছুদিন পরে গাছগুলি মারা যায়। এরপরে রাতে কাঠ চোরেরা সেই গাছ কেটে নিয়ে পালিয়ে যায়”।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আশেপাশে একাধিক খনি থাকায় এলাকাটি খুব রুক্ষ-শুষ্ক। যার ফলে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বসবাসযোগ্য পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে ২০১৮ সালে এই এলাকায় নিবিড় বনসৃজনের প্রতীক রূপে ৪৮ হাজার আকাশমণি গাছ লাগানো হয়েছিল।