জগৎবল্লভপুরে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তাল এলাকা
অমিত জানাঃ হাওড়াঃ ফের সংঘর্ষ! যার জেরে উত্তপ্ত সমগ্র অঞ্চল। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা এই কাজ করেছে। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ এটা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব।
জানা গেছে, মূলত পতাকা ও ফেস্টুন লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের ত্রিপুরাপুড়। এর আগেও জগৎবলভপুরে বিজেপির পতাকা সহ ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠেছিল।
অভিযোগ করা হয় যে, বিজেপি কর্মীরা সেই এলাকায় ব্যানার এবং পোস্টার লাগালে তৃণমূল কর্মীরা এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে। এমনকি তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। বিজেপি প্রার্থী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুই দলের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। তাছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এরপর ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়।
হাওড়ার জগৎবল্লভপুর এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, “স্থানীয় বিজেপি কর্মী
সঞ্জয় সাউ এখানকার বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ব্যানার এবং দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিল। সেই সময় সঞ্জয়কে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বাধা দেয়। তাকে তাদের পতাকা খুলে নেবার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। তখন সঞ্জয় তাদের বিকেলে খুলে দেবে বলে জানায়।
কিন্তু ঘটনার দিন যখন সঞ্জয় ঘরে খাচ্ছিল তখন তাকে গিয়ে মারধর করে। তার গেঞ্জি ছিঁড়ে দেয়। বিজেপি নেতৃত্ব আরো জানায়, “এটা তৃণমূলের নিম্ন রাজনীতি। ওরা ভেবেছে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে ভোট করেছে সেভাবে করবে তবে এটা নতুন বিজেপি। এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল হারবে বলে ওরা বুঝে গেছে তাই এই ঘৃণ্য রাজনীতি করছে”।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবী, “এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা দায়ী নন। যারা পু্রোনো বিজেপি কর্মী তারা নিজেরাই প্রার্থী পছন্দ করছেন না বলেই এই ঝামেলা হচ্ছে”। এটা বিজেপির অন্তঃকলহ বলে জানান ওই তৃণমূল নেতা।