দীপঙ্কর গোস্বামীঃ মালদাঃ বিয়ের তিন বছর পরেও সন্তান জন্ম না দেওয়ায় হত্যার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচক থানার চন্ডিপুর এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম চুমকি মন্ডল (২৩)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩ বছর আগে চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা রাজকুমার মন্ডল এর সাথে কাঠিহার জেলার আমেদাবাদ থানার লক্ষীতলা এলাকার চুমকির বিয়ে হয়। বিবাহের ১৩ বছর কেটে গেলেও তাদের কোনো সন্তান হচ্ছিল না। যার ফলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গৃহবধূ উপর মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে নির্যাতন করত। কিন্তু মঙ্গলবার অত্যাচারের সীমানা পার করে গিয়ে স্বামী রাজকুমার মন্ডল সহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রথমে মানিকচক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় এবং সেখান থেকেই রাতেই মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতভর চিকিৎসা চলার পর বুধবার সকালে তার মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারের।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
মৃত গৃহবধূর মা কলাবতী চৌধুরী জানান, “বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের উপর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত। মাঝেমধ্যেই তারা মেয়ের কাছে টাকা-পয়সা বাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করত। এই বিষয়টি আমরা জানতে পেরে জামাইয়ের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করেছি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে আমার মেয়ের সন্তান জন্ম না হওয়ার জন্য তাকে খারাপ কথা বলে বদনাম করার চেষ্টা করত। আমার মেয়ে সেটা প্রতিবাদ করায় এই ঘটনা ঘটল।স্থানীয় লোকজনদের টেলিফোন মারফত আমরা বিষয়টি জানতে পেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসি। এরপরই হাসপাতালে পৌঁছে মেয়েকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। এদিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকেরা এমনকি জামাই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereমৃতার বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানানোর পাশাপাশি জামাই সহ শ্বশুরবাড়ির ৪ জনের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এর সাথেই তারা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবী জানান। পুলিশ পুরো বিষয়টির সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন।