নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ কয়েক বছর আগে বর্ধমান মহিলা কলেজের ভূগোলের সহকারী অধ্যাপক মহম্মদ আকতার হুসেনুর রহমানের বিয়ে হয়েছিল। তিনি তার স্ত্রী সহ জুন মাস থেকেই বর্ধমানের মেঘনাদ সাহা পল্লিতে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন।
তবে আজ ভোরবেলা তার স্ত্রী শ্বশুরমশাইকে ফোন করে জানান তার স্বামী শৌচালয়ে পড়ে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে গেছেন। এরপর তড়িঘড়ি করে অধ্যাপকের বাবা বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার একডালা গ্রামের আদিবাড়ি থেকে বর্ধমানের মেঘনাদ সাহা পল্লি এলাকায় ভাড়াবাড়িতে ছেলেকে দেখতে আসেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছে বাইরে থেকে ভাড়াবাড়ির দরজা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান। তারপর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে ঘরের মাঝে ছেলের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তবে সেখানে পুত্রবধূ অনুপস্থিত ছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ওই অধ্যাপকের দেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জানা যায়, ঘর এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল। দেহ উদ্ধারের সময় অধ্যাপক প্রায় নগ্ন অবস্থায় ছিলেন। নিম্নাংঙ্গে শুধু একটি গামছা পরেছিলেন। গায়ে কম্বল চাপা ছিল। আর তার মাথার পিছনে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন যে, ওই অধ্যাপককে খুন করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত থাকতে পারে তা নিয়ে তার আত্মীয়-পরিজন সহ প্রতিবেশীরা কিছুই বলতে পারেননি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনোভাবে মাথার পিছনে ওই অধ্যাপক আঘাত পেয়েছেন। তবে তিনি কীভাবে আঘাত পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর থেকে অধ্যাপকের স্ত্রী পলাতক। তার স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়াকে ঘিরে মৃত্যু রহস্য আরো জটিলতর হয়েছে। তবে আত্মহত্যা নাকি সাংসারিক কিংবা প্রণয়ঘটিত বিবাদের জেরে খুন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে খতিয়ে দেখছে পুলিশ আধিকারিকরা।