নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ গতকাল রাত ৯ টা নাগাদ জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে কনেপক্ষের আত্মীয়রা তিনটি ছোটো গাড়িতে করে ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকায় বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা জলঢাকা সেতুর কাছে একটি পাথর বোঝাই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এরপর কনেযাত্রীর একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে। এরপরেই পাথর বোঝাই ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যেতেই পিছনে থাকা দুটি যাত্রী বোঝাই গাড়ি পরপর ডাম্পারের উপর এসে পড়ে। সেই দুটি গাড়ির উপর হুড়মুড়িয়ে পাথরের স্তূপ আছড়ে পড়ে গাড়িগুলি চাপা পড়ে যায়।।
যাত্রীদের চিত্কারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে এই ভয়ানক দৃশ্য দেখতে পান। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এরমধ্যে ৩ জন শিশুও রয়েছে। ও আহত হয়েছেন ১৮ জন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে ধূপগুড়ি থানার আইসি এসে পৌঁছায়। ক্রেন দিয়ে পাথরের তলা থেকে নিহত এবং আহতদের উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসার জন্য প্রথমে আহতদের ধূপগুড়ি হাসপাতালে এবং পরে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে এখনো কারোর পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
ধূপগুড়ির বাস দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে শোকপ্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থ হওয়ার প্রার্থনা করেন তিনি।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী দূর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা ও আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে প্রধানমন্ত্রীও দাঁড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিজনদের ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারগুলিকে সব রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্র।
PMO India@PMOIndiaJan 20, 2021