নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দক্ষিণ দিনাজপুরঃ বিধানসভা নির্বাচন যতো সামনে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ততোই প্রকোট আকার ধারণ করছে। গতকাল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্যানিং এর পর পুনরায় আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের শুকদেবপুরে জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। গঙ্গারামপুরের শুকদেবপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিবাদ শুরু হয়। এই বিবাদ হাতাহাতি থেকে গুলি পর্যন্ত গড়ায়।
এই ঘটনায় সঞ্জিত সরকার নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালিপদ সরকার আহত হন। উভয়কে চিকিত্সার জন্য গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা কালিপদবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর সঞ্জিত সরকারের অবস্থার অবনতি দেখে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে তার হাসপাতালেই মৃত্যু হয়।
এই প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শী দেবাশিস রায় জানান, “কালিপদ সরকার বিপ্লব মিত্রের অনুগামী ও অপর দিকে সঞ্জিত সরকার জেলা সভাপতি গৌতম দাসের অনুগামী ছিলেন। সকালে যখন সবাই একসঙ্গে বসেছিলেন তখনই হঠাত্ই কালিপদ সরকার ও তার দুই ছেলে সহ তার দলের লোকেরা গোলাগুলি চালাতে শুরু করে দেয়। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সঞ্জিত সরকার”।
আজ দলীয় কর্মসূচীতে যোগদান করতে পুর এবং ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মালদায় পৌঁছান। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মালদা মহানন্দা ভবন থেকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, “ওখানে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। এটা বিজেপি অপপ্রচার চালাচ্ছে”।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী এবং কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কালিপদ সরকারের উচ্চ রক্তচাপ এবং হাই সুগার থাকার কারণে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশ ঘটনাটির বিশদে তদন্ত করছে।