নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দক্ষিণ দিনাজপুরঃ দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর শেষমেশ বিয়ের প্রস্তাব নাকোচ করায় আত্মহত্যা করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানা এলাকার থিঙ্গুর গ্রামের এক কিশোরী। মৃতার নাম পায়েল সরকার। বয়স ১৬। সে বংশীহারী গার্লস স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ যে, বহুদিন থেকেই ওই গ্রামের মিঠুন মহন্ত নামে এক যুবকের সাথে পায়েলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি প্রেমের কথা জানার পর মেয়ের বয়স কম জেনেও কিশোরীর পরিবার ওই যুবকের বাড়িতে বিয়ের কথা বলতে গেলেই তার পরিবার তাদের কাছে বিপুল অংকের পণ চান। এমনকি তারা জানিয়ে দেন পণ না দিলে তারা তাদের ছেলের সাথে বিয়ে দেবেন না। এছাড়া ওই যুবক পায়েলকে অন্য একটি মেয়ের ছবি দেখিয়ে তার বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়ে দেয়। আর তাকে বিয়ে করতেও অস্বীকার করে। এরপরই অপমান সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পায়েল গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
গতকাল সকালেই কিশোরীর পরিবার তার মেয়ের দেহটি দেখতে পেয়ে অভিযুক্ত মিঠুন মহন্ত এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তারপরে পুলিশ এসে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। বংশীহারী থানার পুলিশ এই ঘটনাকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পলাতক ।
তবে এই ঘটনার জেরে স্থানীয়রা সহ মৃতার পরিবার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন।