নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ প্রতিনিয়ত শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই সমাজে বাচ্চা থেকে বয়স্কা কেউই আর নিরাপদ নয়। এবার উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে ১১ বছরের এক বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষণ করে গলা টিপে খুন করারও অভিযোগ উঠল ২০ বছররে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনার পরে প্রায় চার দিন কেটে গেলেও তার মা-বাবাকে মেয়েকে নিয়ে চিকিত্সার জন্য হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়। তারপর প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলে তাদের মেয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল ও অনবরত রক্তপাত হচ্ছিল। তবু তাকে কোনো হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি। এই ঘটনার চার দিন পরে তাদের বাড়িতে শিশু সুরক্ষা কমিশনের এক বিশেষ দল আসলে এরপর তাদের উদ্যোগে কিশোরীটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ওই কিশোরীর অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাচ্চাটির বাবা পেশায় একজন কৃষক। আর তার চাষের ক্ষেতেই ওই যুবক তার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে চাষের ক্ষেতে খোঁজ করতে এসে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় খুঁজে পায় তার মা-বাবা। এমনকি তার গলাতেও জোরালো আঘাতের চিহ্ন ছিল। তারপর সব ঘটনা মেয়েটি তার মা-বাবাকে জানানোর পাশাপাশি ওই অভিযুক্তকে চিহ্নিতও করে।
কিশোরীর বয়ান অনুযায়ী জানতে পারা যায় যে, তাকে ধর্ষণ করে গলা টিপে খুনের চেষ্টা করা হয়। তারপর সে অজ্ঞান হয়ে গেলে অভিযুক্ত তাকে মৃত ভেবে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া মেয়েটির চিকিত্সার ব্যাপারে যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে তাও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।