নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কাচমন্দির থেকে কালিসায়র মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা ফেরত নেওয়ার ঘোষণা করা হয়। আজ সকালে বিশ্বভারতীকে রাস্তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে রবীন্দ্রভবনের সামনে ছাতিমতলায় অনশন অবস্থানে বসেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাচার্যের সঙ্গে এই অবস্থান বিক্ষোভে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও কর্মীসহ পড়ুয়াদের একাংশ যোগ দিয়েছেলেন।
অন্যদিকে ঠিক সেইসময় গেটের বাইরে থেকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর বেশ কয়েকজন পড়ুয়া অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। এদিন বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ছাতিমতলা থেকে উপাচার্যের বের হওয়ার পথ আটকে দেন। যার ফলে উপাচার্যকে অন্য রাস্তা দিয়ে বের হতে হয়। শিক্ষার্থীরা ‘ভিসি গো ব্যাক’ ধ্বনি তুলে প্রবল বিক্ষোভ শুরু করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের ছাতিমতলায় ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের বাধা দিলে এলাকা জুড়ে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের থেকে বাধা পেয়ে মাটিতে বসেই বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereতারা পোস্টার হাতে বিশ্বকবির লেখা ‘বাঁধ ভেঙে দাও’ গানের শ্লোগান তুলেছিল। আর পোস্টারে লেখা ছিল, “অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে। ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে বিশ্বভারতী বাঁচান তবেই রবীন্দ্রনাথ বাঁচবে। বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির বৈঠকের ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক সুদীপ ভট্টাচার্যের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন দিয়ে বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি ধ্বংস করা যাবে না”।
এমনকি উপাচার্য বিশ্বভারতীকে গৈরিকীকরণের চেষ্টা করছেন এই অভিযোগ এনে বাম ছাত্র সংগঠনরাও বিক্ষোভে লিপ্ত হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereকিন্তু বিশ্বভারতীর উপাসনাগৃহের উল্টোদিকে রাস্তায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতিও বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, গত শীতের পৌষমেলার সময় স্টল করার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে ফেরতযোগ্য অর্থ জমা নিয়েছিলেন এখনো পর্যন্ত তা ফেরত দেয়নি। এক ব্যবসায়ী বলেছেন, ”গত বছরের পৌষমেলার পরে করোনা আবহে আমরা প্রবল আর্থিক সঙ্কটে পড়েছি। এ বারের শীতে অতিমারির কারণে মেলা বাতিল হয়েছে। তবুও আমাদের টাকা ফেরত দেয়নি বিশ্বভারতী। তাই আমরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছি”।
তবে পুরো ঘটনার বিষয়ে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।