ব্যুরো নিউজঃ বিমানবন্দর ছাড়া যেন যাতায়াত ব্যবস্থাই থেকে যায় অসম্পূর্ণ। দেশগুলিতে বিমানবন্দরে ওঠা নামার কোনো সুযোগ নেই। কথাগুলো শুনে আশ্চর্য হলেও এটাই বাস্তব। আর মানুষ তো ভ্রমণ পিপাসু। তারা বিমানের মাধ্যমে দেশ থেকে দেশান্তরে পৌঁছে যায়। কিন্তু যেখানে এই পরিষেবাই নেই সেখানে যাওয়া সম্ভব কীভাবে? হ্যাঁ এবার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যাতায়াত পরিষেবার ক্ষেত্রে এরকম অদ্ভুত ব্যবস্থা কেন? তো চলুন জেনে নিই এর উত্তর।
বিশ্বের এই পাঁচটি দেশের আয়তন সবচেয়ে ক্ষুদ্রতর যার ফলে এখানে কোনো বিমান পরিষেবা নেই। এই পাঁচটি ইউরোপীয় দেশ হলো- মোনাকো, অ্যান্ডোরা, লিচেনস্টেইন, সান মারিনো, ভ্যাটিকান সিটি।
অ্যান্ডোরা- বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশগুলির মধ্যে ষোড়শ তালিকায় নাম আছে এই দেশের। এই দেশে মোট জনসংখ্যা ৮৫০০০। নিকটবর্তী বিমানবন্দর ১২ কিলোমিটার দূরে স্পেনে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার মানুষ ওই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন।
লিচেনস্টেইন- এই দেশের মোট জনসংখ্যা ৪০০০০। জায়গার অভাবে এখানে কোনো বিমানবন্দর গড়ে ওঠেনি। ১২০ কিলোমিটার দূরে জুরিখ বিমানবন্দরের মাধ্যমে এখানে মানুষ যাতায়াত করেন।
সান মারিনো- পৃথিবীর প্রাচীনতম এই দেশটির পরিসীমা ৪০ কিলোমিটার। এখানে যাতায়াতের জন্য মানুষকে ব্যবহার করতে হয় ১৬ কিলোমিটার দূরের ইতালির রিমিনি বিমানবন্দরের উপর। এছাড়াও এই দেশের নিকটবর্তী বিমানবন্দর পিসা, ভেনিস, বোলোগোনা এই তিনটি শহরের বিমানবন্দর।
মোনাকো- এটি বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। এই দেশের পরিসীমা মাত্র ৬ কিলোমিটারের মধ্যে। ৪০০০০ মানুষের বাস এখানে। পার্শ্ববর্তী ফ্রান্সের নিস বিমানবন্দরের মাধ্যমেই একমাত্র যাতায়াত সম্ভব।
ভ্যাটিকান সিটি- বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ও খ্রিস্টান ধর্মের পবিত্রতম দেশ এটি। সবমিলিয়ে মাত্র ৮০০ জন বসবাস করেন এই দেশে। ভ্যাটিকান সিটি রোমের মধ্যে অবস্থান করায় পার্শ্ববর্তী বিমানবন্দরকেই বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয়েছে।