ব্যুরো নিউজঃ পাকিস্তানঃ আজ পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের মাস্তং জেলার সদর শহরের আলফালাহ রোডে মদিনা মসজিদের সামনে ঈদ-ই-মিলাদুন উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি জমায়েতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। এদের মধ্যে এক জন এক ডিএসপি সহ বালুচিস্তান পুলিশের কয়েক জন কর্মী ছিলেন। আর আহত হয়েছেন ১৩০ জনের বেশী।
সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের তীব্রতায় বেশ কিছু যানবাহন ও আশেপাশের কয়েকটি দোকানেরও ক্ষতি হয়েছে। এই বিস্ফোরণের পর দ্রুত আহতদের শহিদ নবাব ঘৌস বখ্শ রাইসানি মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় ‘বালুচ ন্যাশনালিস্ট আর্মি’ (বিএনএ) এবং ‘বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির’ (বিএলএ) মতো স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির পাশাপাশি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) বিদ্রোহীরাও সক্রিয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সম্প্রতি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য স্বাধীনতাপন্থী বালুচদের সাথে সমঝোতা করেছে। কিন্তু বিস্ফোরণের কিছু পরেই তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এক ঘটনার দায় অস্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে একে মানববোমার হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান প্রাকৃতিক ভাবে সবচেয়ে সম্পদশালী। তবে ধীরে ধীরে তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে। ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) তৈরীর পরে গত কয়েক বছরে লুট আরো বেড়েছে। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে শুরু হওয়া ওই রাস্তা কারাকোরাম পেরিয়ে দেশে ঢুকেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বালুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে চীন নিয়ন্ত্রিত গ্বদর বন্দরে শেষ হয়েছে। আর ওই রাস্তা ব্যবহার করেই ইসলামাবাদ এবং বেজিংয়ের শাসকেরা বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে বলে স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলি অভিযোগ তুলেছে। এমনকি সম্প্রতি চীনাদের আপত্তিতে গ্বদর উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।