ব্যুরো নিউজঃ ইউরোপঃ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মধ্যে সিটাকোসিস বা প্যারট ফিভার নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ডেনমার্ক, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসে প্যারট ফিভারে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালো ৫ জনের। গত বছরের শেষের দিক থেকে ইউরোপ জুড়ে এই সংক্রমণের প্রকোপ বেড়েছে।
সিটাকোসিস রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর ফুসফুসে সংক্রমণ শুরু হয়। ক্ল্যামিডোফিলা সিট্যাকি নামক ব্যাক্টেরিয়ার কারণেই এই রোগ হয়। এই ব্যাক্টেরিয়াগুলি সাধারণত পাখিদের শরীরে দেখতে পাওয়া যায়। যখন মানুষ পাখিদের সংস্পর্শে আসে তখনই ব্যাক্টেরিয়াগুলি পাখির শরীর থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়।
যাদের বাড়িতে পোষ্য পাখি রয়েছে, যারা খামারে কাজ করেন, যারা বাগানের কর্মচারী তাদের মধ্যেই এই সংক্রমণ বেশী হয়। এই রোগের উপসর্গগুলি হলো মাথা যন্ত্রণা, তীব্র জ্বর, মাঝে মধ্যেই কাঁপুনি দিয়ে ওঠা, শুকনো কাশি, অস্থিসন্ধির ব্যথা ও পেশিতে যন্ত্রণা।
বিশ্ব সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী এই ব্যাক্টেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার পাঁচ থেকে চোদ্দ দিন পর সিটাকোসিসের উপসর্গগুলি শরীরে দেখা দিতে শুরু করে। সময় মতো ধরা পড়লে বিশেষ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহারে এই রোগ আটকানো সম্ভব হচ্ছে। আর রোগীর ফুসফুসে সংক্রমণ নিউমোনিয়ার পর্যায় পৌঁছতে পারে না। এছাড়া এই ব্যাক্টেরিয়া একটি মানুষের শরীর থেকে অন্য মানুষের শরীরে সরাসরি সংক্রমিত হতে পারে না।