নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ওড়িশাঃ ওড়িশায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এই মৃত পাঁচ জন জেলার ভেদেন, সোহেলা, আটাবিরা ও বরপালি ব্লকের বাসিন্দা ছিলেন।
স্ক্রাব টাইফাস শব্দটি গ্রিক শব্দ টাইফাস থেকে এসেছে। যার অর্থ অস্পষ্ট। এঁটুলি পোকার মতো দেখতে ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিক-এর মতো পরজীবী পোকার কামড় থেকে এই রোগের জীবাণু মানবদেহে ছড়ায়। এই পোকাগুলির আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার অবধি হয়। সাধারণত গ্রামের কৃষিজমিতে এই ধরনের পোকা দেখা যায়।
কিন্তু শহরেও বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টে ছোটো ঝোপ-ঝাড়, গাছ-পালা ও পোষ্যের গায়ে এই ধরনের পোকার দেখা যায়। সাধারণত বর্ষায় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। প্রাথমিক ভাবে এই পোকা কামড়ালে সাথে সাথে কোনো ব্যথা অনুভব হয় না। তবে পরে তা শরীরের ভিতরে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে পোকা কামড়ানোর দাগ পাওয়া যায়।
দাগটা কিছুটা সিগারেটের ছ্যাকার মতো হয়। এগুলিকে এসকার বলে। যা দেখেই সাধারণত রোগ শনাক্ত করা হয়ে থাকে। অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিইন এই রোগের অন্যতম ওষুধ। এই রোগের ক্ষেত্রে খুব জ্বর, তীব্র মাথা-গলা- গা-হাত-পা ব্যথা, সর্দি-কাশি, বুকে-পিঠে র্যাশ এবং পেটের সমস্যা হয়। আবার অনেক সময় চোখ লাল হয়ে যায়। অন্য দিকে হিমাচল প্রদেশের শিমলায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে ন’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।