সাতসকালে তীব্র ভূমিকম্পে ইতিমধ্যে মৃত্যু হলো ৩২ জনের

Share

নিউজ ডেস্কঃ সাতসকালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নেপাল কেঁপে উঠলো। নেপাল-তিব্বত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই ভূমিকম্পের জেরে রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে বিহারের উত্তরাংশ ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চল সহ উত্তরবঙ্গ, আসামের কিছু অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এমনকি ভুটান ও চীনের কিছু অঞ্চলেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এই ভূকম্পনের আপাতত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এর জেরে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনেকে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।

জানা গেছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বত। সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে প্রথম ভূকম্পন হয়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৭.১ ছিল। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ৭টা ২মিনিটে ফের দ্বিতীয় ভূকম্পনে শিজাং কেঁপে ওঠে। পর পর একই অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। তীব্রতা ৪.৭ ছিল। তবে এর পাঁচ মিনিট পরে আবার ৭টা ৭মিনিটে তৃতীয় ভূকম্পন অনুভূত হয়। আর তীব্রতা ৪.৯ ছিল। এরপর আরো ছ’মিনিট পরে যে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে, তার তীব্রতা ৫ ছিল। প্রথম দু’টি ভূমিকম্প ভূপৃষ্ঠ থেকে দশ কিলোমিটার গভীরে হয়েছে। আর তৃতীয়টি ত্রিশ কিলোমিটার গভীরে হয়েছিল।


সাধারণত কোথাও ভূমিকম্প হলে, তারপরের কিছুক্ষণ ধরে এই ধরণের আফটারশক দেখা যায়। ভূকম্পনের তীব্রতায় ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কাও রয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, তিব্বতের অপর একটি শহর শিগাতসে শহরে ৬.৮ তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছে বলে চীন দাবী করেছে। শিগাতসে হল তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। গত পাঁচ বছরে শিগাতসের দু’শো কিলোমিটারের মধ্যে তিন বা তার বেশী মাত্রার ২৯টি ভূমিকম্প হয়েছে। কিন্তু এদিনের মতো তীব্রতা কোনোটিরই ছিল না।


উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসেও নেপালে ৬.৪ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্প হয়েছে। তখন ভূকম্পনের কারণে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, “হিমালয়ের কোলে থাকা এই পাহাড়ি দেশে, ভারতীয় পাতের সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের প্রবণতার কারণে এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশঙ্কা বেশী থাকে।”


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031