নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ ভাগীরথী এবং পদ্মার জলস্তর বৃদ্ধির কারণে মুছে গিয়েছে ভৌগোলিক সীমা। সেই ফেন্সিংহীন নদীপথ দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা করতে গিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেন পাঁচ জন। ধৃতদের মধ্যে দু’জন বাংলাদেশি বলে বিএসএফ সূত্রের খবর। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৩২টি গবাদি পশু। তাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রের খবর, শুক্রবার কাকভোরে মুর্শিদাবাদ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আউটপোস্ট কেদারিপথে দায়িত্বে থাকা ৮৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের চোখে পড়ে পাচারকারীরা। সীমান্ত থেকে ৫০০ মিটার দূরে ডল্লা গ্রামের বাইরে পাঁচ থেকে ছ’জনের একটি দল গরু নিয়ে যাচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন বিএসএফ জওয়ানেরা। কিন্তু বিএসএফের বাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন ওই ব্যক্তিরা। তাঁদের আটকানোর জন্য শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বিএসএফ।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তখন সন্দেহভাজনেরা দৌড়োদৌড়ি করে গা-ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করেন জওয়ানেরা। কিছু ক্ষণ পরে দুই বাংলাদেশি পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় ছ’টি পশু। অন্য আর একটি ঘটনায় ২০টি গরু উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ভাগীরথীর ফেন্সিংহীন জলপথ দিয়ে ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্ত এলাকা নিমতিতা-বাজিতপুর তালতলি এলাকা দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। সেখানে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ধৃতেরা মুর্শিদাবাদের লোহাপুর এবং মালদহের সুভাপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। দুই ঘটনায় সব মিলিয়ে যে পাঁচ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন মহম্মদ রুবেল এবং আমানুল্লাহ বাংলাদেশের নওগাঁর বাসিন্দা। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফের মুখপাত্র একে আর্য বলেন, ‘‘সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ এবং জওয়ানদের তৎপরতায় গবাদি পশুর পাচারকারীদের আটকে দিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অপরাধ ১০০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে বাহিনী সদা সচেষ্ট।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here