ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ শিশুর বাদ গেলো চোখ

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুম্বইঃ বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস রোগ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা গেছে, মুম্বইতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত তিনটি শিশুর চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। আর চিকিত্‍সকেরা তিন জনেরই একটি করে চোখ বাদ দিয়েছেন।

https://www.youtube.com/watch?v=E0L5ZTul0yc

সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে যাওয়ার পরেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া মুম্বইতে যে তিনটি শিশুর চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাদের ৪, ৬ ও ১৪ বছর বয়স। ৪ ও ৬ বছর বয়সের শিশু দু’টি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত না হলেও ১৪ বছরের মেয়েটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিল।


মুম্বইয়ের কেবিএইচ বাচোয়ালি অপথালমিক অ্যান্ড ইএনটি হসপিটালের চিকিত্‍সক প্রিথেশ শেঠি জানান, “তিনটি শিশুরই চোখে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয়েছিল। অপারেশন করে চোখ বাদ না দিলে জীবন বিপন্ন হতো”।


১৬ বছরের আরেকটি কিশোরী করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিত্‍সকরা জানতে পেরেছেন, ওই কিশোরীর পাকস্থলীতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয়েছে। ফর্টিস হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জেসপাল শেঠ বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলার সময় দু’টি কিশোরী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছে। একজনের একটি চোখ বাদ দিতে হয়েছে। ছয় সপ্তাহ ধরে আমরা কিশোরীর চিকিত্‍সা করছি। কিন্তু চোখ বাঁচানো যায়নি। সৌভাগ্যের বিষয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তার মস্তিষ্কে আক্রমণ করতে পারেনি।


এক মাস আগেও ১৬ বছরের কিশোরীটির শরীরে কোনো রোগ ছিল না। করোনা থেকে সেরে উঠেছিল। তবে হঠাৎ ডায়াবেটিস ধরা পড়ে অন্ত্র থেকে রক্তপাত হতে থাকে। আমরা অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করে জানতে পারি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কিশোরীর পাকস্থলীর কাছে ব্ল্যাড ভেসেলগুলি আক্রমণ করেছে”।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সূত্রের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ২২৪ জন। আর সব মিলিয়ে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৯৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এর পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫৪২ জনের। অর্থাৎ দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৭৩ জন।

https://www.youtube.com/watch?v=Yso_nm4FOA0

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031