২৫০ টি টিয়া সহ গ্রেফতার ২ জন পাচারকারী

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ গতকাল আরপিএফের উদ্যোগে আসানসোল স্টেশন থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া আড়াইশোটি টিয়া সহ মহম্মদ শামিম ও মহম্মদ ওয়াসিম নামে দু’জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে, শামিম এবং ওয়াসিম আসানসোলর রেলপাড়ের বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন ওই দু’জন অভিযুক্ত আসানসোল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পশ্চিম দিকে হাওড়ামুখী শিপ্রা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নামেন। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শামিম ও ওয়াসিমকে গ্রেফতার করে ব্যাগ এবং খাঁচাগুলি থেকে প্রায় ২৫০ টি টিয়া উদ্ধার করেন।


তারপর বন দপ্তরকে ডেকে পাঠিয়ে টিয়া সহ শামিম ও ওয়াসিমকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দু’জন অভিযুক্ত এবং টিয়াগুলিকে দপ্তর আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাখিগুলিকে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ) থেকে নিয়ে এসে বর্ধমানে নিয়ে যাওয়ার হচ্ছিল। 


এই টিয়াগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি বাচ্চা রয়েছে। কয়েক ঘণ্টা ঢাকা দেওয়া খাঁচা ও প্লাস্টিকের ব্যাগে বন্দি থাকায় টিয়াগুলি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই পূর্ণবয়স্ক পাখি এবং বাচ্চাগুলিকে একটি বড়ো খাঁচায় রেখে জল ও খাবার খাইয়ে সুস্থ করে তোলা হচ্ছে। পূর্ণবয়স্ক টিয়াগুলিকে এক থেকে দু’দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে।


আর বাচ্চাগুলি একটু বড়ো হলে ছাড়া হবে। পূর্ণবয়স্ক টিয়াগুলির প্রতিটিই স্ত্রী পাখি। স্ত্রী পাখিরা গাছের কোটরে বাচ্চা দেওয়ার পরে বিকেলবেলা বাচ্চাকে পরিচর্যা এবং খাবার খাওয়াতে আসে। সম্ভবত পাখি চোরেরা সে সময় গাছের কোঠর থেকে স্ত্রী পাখি ও বাচ্চাগুলিকে ধরেছিল। 

ডিএফও (দুর্গাপুর) বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, “টিয়া ধরা এবং বাজারে বিক্রি করা নিষিদ্ধ। শামিম ও ওয়াসিমকে এই কাজ করার জন্য ১৯৭২ সালের ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন’ আইনে গ্রেফতার করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।” 

এছাড়া এই সময় দুর্গাপুর, বারাবনি, আসানসোল, সালানপুর সহ আশপাশের এলাকায় আকাশে প্রচুর টিয়া উড়তে দেখা যায়। তাই পাখি চোরেরা যাতে টিয়া পাখি ধরতে না পারে সে জন্যও কঠোর ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30