নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ ২২ শে জুলাই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। মাধ্যমিকে যেমন ১০০ শতাংশ পাশ করেছে উচ্চ মাধ্যমিকে তেমনটা হয়নি। অথচ মাধ্যমিকের ফলাফল দেখে প্রত্যাশা ছিল উচ্চ মাধ্যমিকেও ফলাফল ভালো হবে কিন্তু তা না হওয়ায় গতকাল থেকে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আর আজ সেই বিক্ষোভের আগুনে আহত হয়েছেন ২ জন ছাত্র।
জানা যায়, চলতি বছর মুর্শিদাবাদের হরিহর পাড়ার সরবপুর বিদ্যালয় থেকে ১৮০ জন ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। এদের মধ্যে ১০০ জন পাশ করেছে। বাকি ৮০ জন ফেল করেছেন। আবার যারা পাশ করেছে তাদের অভিযোগ যে তারা প্রত্যাশা মতো নম্বর পায়নি। গতকাল বিকেল থেকেই এই সকল অভিযোগ নিয়ে অশান্তি শুরু হয়েছিল।
প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের বলেছিলেন শনিবার স্কুলে আসতে। তবে আজ বিদ্যালয়ে বৈঠকের পর প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, “এ বার আর কিছু করা যাবে না। যারা অকৃতকার্য হয়েছে তারা যেন মন দিয়ে পড়াশুনা করে সামনের বছর নিশ্চয়ই ভালো ফল পাবেন”। কিন্তু ছাত্রদের একাংশ এই যুক্তি শুনতে নারাজ। তাই তারা সুন্দরপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান। এরপর সেই আগুন ঠিকরে এসে আহত হয়েছেন দুই জন। এদের মধ্যে বাসির শেখ নামে এক ছাত্রকে হরিহরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত বছরও মুর্শিদাবাদের মহিষমারা ঘোড়ামারা উচ্চ বিদ্যালয়ে এরকমই পরিস্থিতি হয়েছিল। চলতি বছর এই বিদ্যালয় থেকে ১৬১ জন পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। যাদের মধ্যে মাত্র ৭৪ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে অর্থাত্ ৫০ শতাংশেরও কম উত্তীর্ণ।
এছাড়া যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের অভিযোগ উঠছে, “জোর করে ফেল করানো হয়েছে। মার্কশিট দেখে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। মাত্র ৭৪ জন পাশ করেছে। বাকিরা কি বানের জলে ভেসে এসেছে”। এই অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে তালাবন্দী করে রেখে বিদ্যালয় চত্বরে ভাঙচুর চালানো হয়।
জেলা শাসকের দপ্তরেও হরিহর পাড়া ও ঘোড়ামারার খবর পৌঁছে যায়। এরফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনিক এবং জেলা পুলিশ কর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন।