নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টায় নিঃশেষ জইশ কম্যান্ডার সহ ২ জঙ্গি

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কাশ্মীরঃ ফের কাশ্মীরী উপত্যকায় সেনা বাহিনী এক বড়ো সফলতা অর্জন করলো। শেষমেশ জঙ্গিদের সাথে গুলির লড়াইয়ে জঈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ও পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী মহম্মদ ইসমাল আলভি ওরফে লম্বো শেষ হলো। এছাড়া ইসমাল আদনান নামেও পরিচিত ছিল। জঈশ প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের লোক ইসমাল। এই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ইসমাল ছাড়াও আরো ২ জন জঙ্গির।

সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, সেনা বাহিনী পুলওয়ামার ডাচিগ্রাম জঙ্গলে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই তল্লাশি চালালে জঙ্গিরাও টের পেয়ে যায়। এরপর জওয়ানদের উদ্দেশ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। তারপর জওয়ানরাও পাল্টা গুলি চালায়। এই গুলির লড়াইয়ে তিন জন জঈশ জঙ্গি মারা গিয়েছে। এখনো দুই জঙ্গির পরিচয় জানা যায়নি।


ইসমাল নাশকতা চালানোর জন্যই কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিল। এখনো গুলির লড়াই চলছে। কাশ্মীর পুলিশ এই সাফল্যের জন্য টুইটের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়েছে।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালে জঙ্গিরা পুলওয়ামায় ভয়ঙ্কর নাশকতা চালিয়েছিল। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে সরাসরি সেনা কনভয়ে ঢুকে পড়েছিল। আর সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অন্তত ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। এই পুরো পরিকল্পনা জঈশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার করেছিলেন। আর বাস্তবে কাশ্মীরের জঙ্গিরা সেটা কার্যকর করেছিল। সেই চক্রান্তে ইসমালও সামিল থাকার পাশাপাশি এনআইএর চার্জশিটেও নাম ছিল।


ভারতও পুলওয়ামা হামলার বদলা নিয়ে পাকিস্তানের পালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছিল। রাতেরবেলা অন্ধকারে সীমান্তের ওপারে গিয়ে জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। বায়ুসেনার জওয়ানরা সকলের অজান্তেই জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড এবং ট্রেনিং ক্যাম্প ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিলেন।

এর সাথে সাথে জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবস ও তার আগেই ৫ ই আগস্ট জঙ্গিদের জম্মুর একাধিক মন্দিরে নাশকতার ছক রয়েছে। সেই অনুযায়ী কড়া সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30