নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মহারাষ্ট্রঃ এ যেন এক বিরল দৃশ্য। দেশ জুড়ে ফের করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। আর সমগ্র দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রায় ৬০ শতাংশই এই রাজ্য থেকে আক্রান্ত হয়েছে।
সূত্রের খবরের ভিত্তিতে জানা যায়, নাগপুরের একটি সরকারী হাসপাতালে বেড সংখ্যা কম থাকায় একই বেডে দু’জন করোনা রোগী আছে। নাগপুরের সরকারী হাসপাতালের সুপার অবিনাশ গাওয়ান্ডে বলেছেন, “বেসরকারী হাসপাতালে চিকিত্সা করতে প্রচুর টাকা খরচ হয়। তাই কোভিড রোগীরা সরকারী হাসপাতালে আসছেন। কিন্তু এখান বেডের সংখ্যা খুব কম থাকায় আমরা নিরুপায়। তবে আশা করা যাচ্ছে পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হবে”।
বিজেপি নেতা চন্দ্রকান্ত বাওয়ানকুলে জানিয়েছেন, “ওই সরকারী হাসপাতালে একই ওয়ার্ডে করোনা রোগীর সঙ্গে অন্যান্য রোগীদেরও রাখা হচ্ছে। আসলে সত্যিটা হলো নাগপুরে হাসপাতালে করোনা রোগীদের বেড নেই। আর সরকার কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমাচ্ছে। মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রীসভার তিন জন মন্ত্রী নাগপুরের। তবু তারা সব জেনেও চুপ আছেন। অন্য কাজে ব্যস্ত রয়েছেন”।
করোনা রোগীদের চিকিত্সায় যাতে কোনো গাফিলতি না থাকে সেজন্য বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বেসরকারী হাসপাতালেও করোনা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করেছে। মুম্বইয়ের অন্তত ৬৯ টি নার্সিংহোমে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ৩৬০ টি আইসিইউ ও ২২৬৯ টি আইসোলেশন বেড রয়েছে।
বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল জানিয়ে দিয়েছেন যে, “কোনো বেসরকারী হাসপাতাল সরাসরি কোভিড রোগীকে ভর্তি করাতে পারবেন না। যে সমস্ত বেসরকারী হাসপাতাল সরাসরি রোগী ভর্তি করবেন তাদের জরিমানা করা হবে। এছাড়া ল্যাব থেকে পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে আগে আমাদের কাছে আসতে হবে। ঠিক তার পরের দিন রোগীর বাড়িতে কর্পোরেশনের লোকরা গিয়ে পরিস্থিতি বুঝে বেসরকারী হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করবেন”।