ব্যুরো নিউজঃ বাংলাদেশঃ বাংলাদেশে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলন অব্যাহত। গত সোমবার রাতেরবেলা থেকেই এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা সহ গোটা বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার পুলিশ ও আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের সাথে সংঘর্ষে ৬ জন আন্দোলনকারী প্রাণ হারান। আর গতকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিংসা থামাতে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আজ হিংসাত্মক ঘটনা আরো বেড়ে গিয়েছে।
এদিন ঢাকায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী লাঠি এবং ঢিল নিয়ে সশস্ত্র পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। যার জেরে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার ১৩ জন আছেন। নিহতদের মধ্যে হাসান মেহেদী নামে এক সাংবাদিক, এক জন স্থানীয় ব্যবসায়ী, এক জন পথচারী, এক জন বাস চালক এবং এক জন রিকশা চালকও ছিলেন। আর বাকিরা সকলেই শিক্ষার্থী বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনো সকলের দেহ শনাক্ত করা যায়নি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা ঢাকার রামপুরায় বাংলাদেশের সরকারী সংবাদমাধ্যম, বিটিভির প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালায়। এমনকি বিটিভির ভবন চত্বরে থাকা দুটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যার কারণে এদিন বিকেলবেলা থেকে বিটিভির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর বিটিভির কর্তা-কর্মীরা এই হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মধ্যে দপ্তর ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপরই বাংলাদেশের সরকারী চ্যানেলে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পরে, বাংলাদেশী পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, “বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। আর সরকার আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা করে একটা সমাধান বের করতে চাইছে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here