রায়া দাসঃ কলকাতাঃ আজ আপার প্রাইমারী নিয়োগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ছাড়পত্র দিয়েছে। ফলে চোদ্দ হাজার পরীক্ষার্থীর চাকরী পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যেই কমিশন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার পর কাউন্সিলিং হবে। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ৭ মাস ধরে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর ১৪ হাজার ৩৩৯ চাকরীপ্রার্থীর শূন্যপদে আপার প্রাইমারী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। অবশেষে এই মামলার জট কাটল।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, “স্কুল সার্ভিস কমিশন, উচ্চ প্রাথমিকের মামলায় যে ‘আপটার ইন্টারভিউ ওএমমার’ আসন পুনর্মূল্যায়ন করে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে বাতিল করেছিল, ওই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। আর সেটা সংশোধন করে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাদের বাতিল করা হয়েছিল, আবার তাদের মেধাতালিকায় আনতে হবে। আর চোদ্দ হাজার ৫২ জনের প্রত্যেককে মেধাতালিকায় রেখে কাউন্সিলিং করাতে হবে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৬ ই আগস্ট আপার প্রাইমারীর টেট পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১১ সাল ও ২০১৫ সালের দুটি টেটের পরীক্ষার্থীরা এই পদে যোগ্য ছিলেন। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালের ২৭ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলে পার্সোনালিটি টেস্ট হবে। কিন্তু সেখানে সঠিকভাবে নথি যাচাই করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে মামলা হয়। এর মধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করে। সেই তালিকায় একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা করা হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ মামলা হয়। ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর রায়দানে পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশের পর অনলাইন ভেরিফিকেশন হয়। সেখানেও একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলা হয় তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্থগিতাদেশ দেন ইন্টারভিউ লিস্টের উপর। পরে স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে জানান, একটি ‘গ্রিভান্স মেকানিসম’ করা হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা হয়। মামলা যায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। ২০২১ সালের ২০ জুলাই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ইন্টারভিউ সম্পন্ন হয়। ২০২৩ সালের ১৬ অগস্ট ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ১৩ হাজার ৩৩৩ জন প্রার্থীর মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। বিচারপতি তালুকদার অবসর নেওয়ার ফলে মামলা যায় বিচারপতি সৌমেন সেনের ঘরে। তাঁর নির্দেশে ২০২৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর শুনানি পর্বে মেধা তালিকা অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের নির্দেশ হয়।