নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হাওড়াঃ শীত পড়তেই হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি সাঁতরাগাছি স্টেশন লাগোয়া ঝিলে জমায়েত হয়। সাধারণত অক্টোবর মাসের শেষের দিক থেকে হিমালয় পেরিয়ে পরিযায়ী পাখিরা এখানে খাবারের সন্ধানে চলে আসে। কিন্তু এই বছর শীত দেরীতে আসায় পরিযায়ী পাখিরা একটু দেরীতেই এসেছে।
চলতি বছর সাঁতরাগাছি ঝিলে রেকর্ড সংখ্যক পরিযায়ী পাখিদের ভিড় দেখা গেল। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রকৃতি সংসদের পক্ষ থেকে ঝিলে পাখি গোনার কাজ হয়। আর তাতেই জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে অন্য বছরের তুলনায় চলতি বছর পাখিদের সংখ্যা অনেক বেশী কিন্তু প্রজাতির সংখ্যা কমে গেছে।
প্রকৃতি সংসদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে মোট ৬ হাজার ৭৪২ টি পরিযায়ী পাখি এসেছে। এদের মধ্যে তিনটি ট্রানস হিমালয়ান প্রজাতির পাখি আছে। তারা হল গাডওয়াল, নর্দান পিন্টেল ও লেসার হুইসলিং বার্ড। এদের সংখ্যা যথাক্রমে ৬ হাজার ৬৭৪, ৮ এবং ১।
এছাড়া আরো ১১ টি প্রজাতির পাখি এসেছে। এদের মধ্যে কমন মুরহেন, ব্রোঞ্জ জাকানা, পার্পেল হেরন, লিটল কর্মরান্ট, হোয়াইট ওয়াগটেল, গ্রেট ইন্ডিয়ান পনড হেরন ও হোয়াইট থ্রোটেড কিংফিশার রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০০০ সালে ১৬ টি প্রজাতির ৫ হাজার ৬৯৪ টি পাখি এসেছিল। যাদের মধ্যে লেসার হুসলিং ডাক ৫ হাজার ৬০১ টি ছিল। পরের বছর ১২ টি প্রজাতির ৫ হাজার ৬৫১ টি পাখি এসেছিল। যাদের মধ্যে লেসার হুইসলিং বার্ড ৫ হাজার ৫৩৬ টি ছিল।
প্রকৃতি সংসদের সদস্য প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘গত বছরের তুলনায় চলতি বছর পাখির সংখ্যা বেশী হলেও প্রজাতির সংখ্যা কমেছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। ঝিলে কচুরিপানা যথার্থ পরিমাণে থাকার ফলে পাখিরা অনেক স্বচ্ছন্দে বসবাস করতে পারছে। চারদিকের শব্দ দূষণের উপদ্রব থেকে বাঁচতে কচুরিপানায় সহজেই লুকিয়ে থাকে’’।