চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজের পরিচালন সমিতির (গভর্নিং বডি) প্রাক্তন সদস্য তথা অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েন্কার বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “গত পাঁচ বছরে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ফ্রড সেকশন ওই মামলার তদন্তের কিনারা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তদন্তের ভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ই অক্টোবর তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে
এছাড়াও নির্দেশ দিয়েছেন, সিআইডি সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েন্কারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। প্রয়োজনে হেফাজতেও নিতে পারবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তার বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতি ও আর্থিক অনিয়মের মামলা হয়। যার প্রেক্ষিতে নিম্ন আদালত এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেয়। ফলে ওই বছরের নভেম্বরে এফআইআর দায়ের করে কলকাতা পুলিশের চারু মার্কেট থানা তদন্ত শুরু করে। পরে তা কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ফ্রড সেকশনে যায়।
সুনন্দার বিরুদ্ধে যে সব ধারায় মামলা করা হয়েছে তাতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রায় দশ বছরের সাজা হতে পারে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দ্রুত তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়ে জানান, সিআইডিকে।
ওই মামলায় সময় প্রাক্তন অধ্যক্ষ মাণিক ভট্টাচার্য (বর্তমানে তৃণমূল বিধায়ক) তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ। কিন্তু তা সত্ত্বেও অ্যান্টি ফ্রড সেকশন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, অন্য মামলায় মানিক ভট্টাচার্য জেলে রয়েছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা স্থানীয় মামলা সিআইডি তদন্ত উপযুক্ত।’’
অতীতে নিয়োগ দুর্নীতি-সহ কয়েকটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেও এ বার সিআইডির হাতে তদন্তের ভার দেওয়ার জন্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার ধন্যবাদ জানান রাজ্যের দুই আইনজীবী শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অর্ক নাগ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সব তদন্তকারী সংস্থার প্রতি আমার আস্থা রয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, গত ৫ ই অক্টোবর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সুনন্দাকে অপসারণ ও তার অফিস তালাবন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ১১ ই অক্টোবর রাই চট্টোপাধ্যায় ও তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। তবে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মূল মামলার শুনানি চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।