নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ আজ মালদায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দুই জন যুবক ও তিন জন নাবালক আছেন। জানা গিয়েছে, ঝড়-বৃষ্টি দেখে আমবাগানে আম কুড়োতে গিয়ে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া এক জন প্রৌঢ়ার ঝড়ের সময় জমিতে ধান কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, এদিন দুপুরবেলা মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়। তাতে মালদার গাজোলের আদিনাতে আম কুড়োতে গিয়ে ১৯ বছর বয়সী একাদশ শ্রেণীর ছাত্র অসিত সাহার মৃত্যু হয়েছে। আর সাহাপুরেও আম কুড়োতে গিয়ে ১৬ বছর বয়সী রাজ মৃধা, ২১ বছর বয়সী মনোজিৎ মণ্ডল ও ৪০ বছর বয়সী চন্দন সহানির মৃত্যু হয়।
এছাড়া মানিকচক ব্লকেও আম কুড়োতে গিয়ে ১১ বছর বয়সী মহম্মদটোলার বাসিন্দা রানা শেখ, ১১ বছর বয়সী মিরদাদপুর অঞ্চলের নিহালুটোলার বাসিন্দা শেখ সাবারুল এবং ৬৫ বছর বয়সী হাড্ডাটোলার বাসিন্দা অতুল মণ্ডলের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি রতুয়া থানা এলাকায় ঝড়ের সময় জমিতে ধান কাটতে গিয়ে ৪৫ বছর বয়সী সুমিত্রা মণ্ডলের মৃত্যু হয়।
এদিকে, ইংরেজবাজার থানা এলাকায় জমিতে কাজ করতে গিয়ে ২৩ বছর বয়সী পঙ্কজ মণ্ডলের মৃত্যু হয়। আবার হরিশ্চন্দ্রপুরের পূর্ব কুস্তরিয়া গ্রামে পাটের জমিতে কাজ করতে গিয়ে ২০ বছর বয়সী প্রিয়ঙ্কা সিংহ ও ২৩ বছর বয়সী নয়ন রায়ের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, বজ্রপাতের ঘটনায় পুরাতন মালদার সাহাপুরে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র দুল্লু মণ্ডল এবং ইংরেজবাজারের বুধিয়ার বাসিন্দা ফতেমা বিবি আহত হয়েছে। এর জেরে দুল্লু ও ফতেমাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া মৃতদের পরিবারের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করে জানান, ‘‘বজ্রপাতে মৃত ব্যক্তিদের দুর্যোগ তহবিল থেকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারী সমস্ত রকমের সাহায্য করা হচ্ছে। নির্বাচনী বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। তাই প্রশাসনের তরফ থেকে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে সমস্ত রকমের সাহায্য করা হচ্ছে।’’