হাইটেনশন তার স্পর্শ হতেই ভয়ানক বিপত্তি ঘটলো ১ শ্রমিকের

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গতকাল কলকাতার আনন্দপুরের ই এম বাইপাস লাগোয়া মার্টিনপাড়া এলাকায় এক জন তরুণকে বিদ্যুৎ এর তারে ছটফট করে ঝুলতে দেখা যায়। আর এই হাড়-হিম করা দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। এরপর দ্রুত পুলিশ ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের খবর দেন।

পুলিশ এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা খবর পেয়ে বাঁশ নিয়ে এসে ওই যুবককে কোনো ভাবে অচেতন অবস্থায় নীচে নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে দগ্ধ অবস্থায় এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন আছে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘ওই যুবকের নাম নাজিবুল শেখ। বয়স ২৩ বছর। বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্যানিংয়ের কাছে জীবনতলার বনমালীপুরে।


নাজিবুল পেশায় শ্রমিক। জলের পাইপ সারানোর কাজ করেন।’’ এদিন একটি বাড়ির ছাদে উঠে আশপাশের আগাছা পরিষ্কার করার সময়ে বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার সাব স্টেশনের হাই-টেনশন লাইনে সংস্পর্শে এসে মারাত্মক দগ্ধ হয়। সিইএসসি জানিয়েছে, ‘‘ওই তারের লাইন তাদের নয়।’’


বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘আগে হাইটেনশন লাইনটা হয়েছে। পরে বাড়ি হয়েছে। আমাদের সরকারের রেগুলেশন বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, যে ন্যূনতম উচ্চতা বজায় রাখতে হয়, হাইটেনশন লাইন তার থেকে উঁচুতে রয়েছে।’’ বিদ্যুৎ দপ্তর জানিয়েছে, ‘‘কসবার সাবস্টেশনটি অনেক পুরোনো।


ওই তল্লাটে বিধিসম্মত উচ্চতা ও আশপাশে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রেখেই হাইটেনশন তারগুলির বিন্যাস। কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মদতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই নির্বিচারে সব নিয়মকে উপেক্ষা করে ঘর-বাড়ি তৈরী হয়েছে।’’ তারের কাছে গিয়ে আগাছা পরিষ্কার ঝুঁকি হতে পারে, তা সত্ত্বেও নাজিবুলকে পাঠানো হয়েছে কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

পাশাপাশি এই কাজে কারা লাগিয়েছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলের একাংশের মদতে জনবসতি বাড়লেও নিরাপত্তা মানা হয়নি কেন সে বিষয়ও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে স্থানীয় ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি তথা বরো সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘এখন বেআইনী ভাবে কোনো বহুতল নির্মাণ হচ্ছে না।’’

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031