নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ নদীয়ার ধানতলা থানার বহিরগাছি বিশ্বনাথপুর গ্রামে বাবার কাছে আবদার করে নতুন মোবাইল না পেয়ে আত্মহত্যা করলো বহিরগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক মাধ্যমিক পাশ ছাত্রী। মৃতার নাম কেয়া বিশ্বাস। বয়স ১৬ বছর। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় সমগ্র পরিবার একেবারে শোকস্তব্ধ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর কেয়া ৪৪১ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করে্ছিল। গতকাল মায়ের সাথে বিদ্যালয়ে গিয়ে কলা বিভাগে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিও হয়। এরপর বিকেলবেলা বাড়ি ফিরে বাবার কাছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের আবদার করে।
পেশায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ওই ছাত্রীর বাবা রামকৃষ্ণ বিশ্বাস মেয়েকে জানান যে, “এখনই সম্ভব নয়। কিন্তু প্রায় দশ দিনের মধ্যেই মোবাইল কিনে দেওয়া হবে।”
তবে কেয়া সেই কথা শুনেই পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। বিকেলবেলা তাকেবন্ধুরা খেলতে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসে দেখে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা। পরে কেয়ার দিদি সঙ্গীতা বিশ্বাস দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বোনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়।
পুলিশ এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস এই ঘটনায় বলেন, “ছোটো থেকেই আমাদের স্কুলে পড়ত। পড়াশোনাতেও ভালো ছিল। এভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না।”